বুন্দেসলিগাকে নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ছেড়েছে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। এবার দলটি স্পর্শ করল নতুন মাইলফলক। টানা দশ মৌসুম লিগ শিরোপা জয়ের গৌরবের অধিকারী হলো দলটি। সর্বশেষ ২০১২ সালে লিগ শিরোপা হারিয়েছিল দলটি। এরপর থেকে দলটির নামের সঙ্গে স্থায়ী হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন শব্দটি। বায়ার্নের অর্জনের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত নামটি টমাস মুলার। বুন্দেসলিগার ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ১১ শিরোপা জয়ের কৃতিত্ব দেখালেন এই জার্মান গোলমেশিন।
বায়ার্ন সমর্থকদের জন্য আনন্দের উপলক্ষটা একটু বেশিই। কেননা বেশ কয়েক বছর ধরেই জার্মান ফুটবলে বায়ার্নের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। আর সেই ডর্টমুন্ডকে হারিয়েই শিরোপা উৎসব করেছে মুলার-রবার্ট লেভানদোভস্কিরা। বলা বাহুল্য ২০১২ সালে সর্বশেষবার বরুশিয়ার কাছেই শিরোপা হাতছাড়া হয় বায়ার্নের। শনিবার রাতে একপেশে ম্যাচে জার্মান জায়ান্টরা জিতেছে ৩-১ গোলে। এই জয়ে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে বায়ার্ন। ৩১ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৭৫ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বরুশিয়ার ঝুলিতে ৬৩ পয়েন্ট। জার্মান ফুটবলে বায়ার্নের আধিপত্য অনুধাবন করার জন্য একটা তথ্যই যথেষ্ট। ১৯৬৩ সালে বুন্দেসলিগা শুরু হওয়ার পর থেকে ৩১ বার শিরোপা জিতেছে জার্মান জায়ান্টরা।
ম্যাচে বরুশিয়ার বিপক্ষে ১৫ মিনিটেই লিড নেয় বায়ার্ন। গোল করেন সের্গে জিনাব্রি। এই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই বরুশিয়ার জালে গোল উৎসব করেন লেভানদোভস্কি। ৩৪ মিনিটের সময় গোল করেন এই পোলিশ গোল মেশিন। এটি ছিল চলতি লিগে লেভার ৩৩তম গোল। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে বরুশিয়ার হয়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমান এমরে কান। ম্যাচ শেষ হওয়ার ৭ মিনিট আগে বরুশিয়ার ফেরার পথ বন্ধ করে দেন মুসিয়ালা। বাকি সময়ে এই লিড ধরে রেখেই শিরোপা উৎসবে মাতে জার্মান জায়ান্টরা।
দশে দশ অর্জনের উচ্ছ্বাসে ভাসছে বায়ার্ন শিবির। বায়ার্নের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠা মুলারের কথায়, ‘সব কিছু খুব চমৎকারভাবে শেষ হয়েছে। সম্প্রতি আমাদের বেশ কিছুটা হতাশার মধ্য দিয়ে গেছে। তাই এটা ছিল একটা সুযোগ। ঘরের মাঠে শিরোপা প্রতিদ্বন্দ্বীদের সরাসরি হারিয়ে শিরোপা জেতার এমন সুযোগ সবসময় আসে না। আমরা এমনটাই চেয়েছিলাম।’ টানা লিগ শিরোপা জেতায় একঘেয়েমি লাগে না, এমন প্রশ্নের জবাবে মুলার জানান, ‘এটা বিরক্তিকর নয় বরং অসাধারণ। কেননা জয়ই বাড়িয়ে দেয় জয়ের ক্ষুধা।’ উচ্ছ্বসিত লেভানদোভস্কি বলেন, ‘টানা দশ শিরোপা কত বড় অর্জন এটা হয়তো মানুষ কিছুদিনের মধ্যে অনুধাবন করতে পারবে।’