তামিম ইকবালের ব্যাটের তোড়ে বেশ ওপরে উঠে গিয়েছিল বল। ডিপ মিডউইকেট থেকে ছুটে এসে সেটি তালুবন্দি করতে গিয়েই বিপত্তি বাধালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আঙুলে আঘাত পেয়েছেন তিনি, প্রচণ্ড ব্যথায় কুঁকড়ে যাওয়া মুখ নিয়ে ছেড়ে যান মাঠ। পরে সেখান থেকে হাসপাতালে। এক্স-রে করানো হয়েছে এই অলরাউন্ডারের চোটাক্রান্ত কনিষ্ঠায়।
বিএকেএসপির চার নম্বর মাঠে রোববার প্রাইম ব্যাংক আর শেখ জামালের মধ্যকার ম্যাচের ১৮তম ওভারে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাটি ঘটেছে। অন্যদিকে আগামী মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজের জন্য এদিনই দল ঘোষণা করা হয়েছে, অনুমিতভাবেই সেই দলে আছেন মিরাজ। কিন্তু আঙুলে কারণে তাকে ঘিরে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
আঙুল ফাটেনি মিরাজের। তবে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন। ব্যথা এতই তীব্র ছিল যে কিছুটা সময় মাঠেই পড়ে ছিলেন তিনি। পরে টিম ফিজিও এসে তাকে নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
ওই ফিজিওর বরাদ দিয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান ক্রীড়া চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী সময়ের আলোকে বললেন, ‘মিরাজের এক্স-রে করানো হয়েছে। রিপোর্ট এখনও হাতে পাইনি। পেলে বিস্তারিত বলতে পারব। তবে ওখানকার ফিজিওর ধারণা, আঙুলের হাড় সরে গেছে। ফ্র্যাকচার আছে কি না, সেটা রিপোর্ট দেখলে বোঝা যাবে।’
যদি হাড় সরে গিয়ে থাকে, তাহলেও সেরে উঠতে সপ্তাহতিনেক সময় লাগবে মিরাজের। আর যদি ফ্র্যাকচার থাকে, তাহলে সেরে উঠতে সময় লাগবে আরও বেশি। সেক্ষেত্রে লঙ্কান সিরিজে এই অফস্পিনার খেলতে পারবেন কি না, সেটা বলা মুশকিল।
দেবাশীষ জানালেন, ‘এখনই তো এসব বলা যাবে না। তবে যদি ফ্র্যাকচার হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে বেশ সময় লাগবে সেড়ে উঠতে।’ একই ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পাওয়া মিরাজের সতীর্থ মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে তেমন শঙ্কা নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েকদিনের বিশ্রামেই চোটমুক্ত হয়ে উঠবেন টাইগার ব্যাটার।