ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহনবাগানের বিপক্ষে খেলবে ঢাকা আবাহনী। এই ম্যাচের জয়ী দল এএফসি কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। কলকাতার বিশ্ব যুব ভারতী স্টেডিয়ামে আগামীকাল ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।
আগামীকাল বিশ্ব যুব ভারতী স্টেডিয়ামে ঢাকা আবাহনী ইস্ট বেঙ্গলের সমর্থন পাওয়ার আশা করছে। ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে আবাহনীর কিংবদন্তী ফুটবলার মোনেম মুন্নার স্মৃতি রয়েছে। আবার ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে মোহনবাগানের সম্পর্কটাও চিরবৈরিতার। ফলে আগামীকাল ভারতের মাটিতে আবাহনী কিছুটা সমর্থন পাবে।
আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে দুই দলই চূড়ান্ত পর্বে খেলার আশা ব্যক্ত করেছে। মোহনবাগান গত আসরে চূড়ান্ত পর্বের নক আউটে খেলেছে। এ বছর তাদের খেলতে হচ্ছে প্লে অফ। প্রথম প্লে অফে শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টারকে বড় ব্যবধানে হারালেও এই ম্যাচে মোহনাবাগান শিবির বেশ সতর্ক।
অধিনায়ক প্রীতম কোটাল বারবারই আবাহনীকে সমীহ জাগানিয়া কথা বলেছেন, ‘আবাহনী অত্যন্ত ভালো দল। তাদের দলে খেলা পরিবর্তন করার মতো ফুটবলার রয়েছে। তবে আমরা ম্যাচটি জিততে পারব।’
মোহনবাগানের কোচ অবশ্য খুব হিসেবি। তিনি পেনাল্টির অনুশীলনও ফুটবলারদের করিয়েছেন। কারণ ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ড্র থাকলে অতিরিক্ত সময় ও টাইব্রেকারে যাবে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতা দল ঢাকা আবাহনী এএফসি কাপে গত বছর খেলতেই পারেনি। না খেলতে পেরেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়। এ বছর প্রথম প্লে অফে মালদ্বীপের ভ্যালেন্সিয়া বাংলাদেশে খেলতে আসেনি ফলে সরাসরি পরের প্লে অফ খেলছে মারিও ল্যামোসের শিষ্যরা।
ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মারিও মোহনবাগানকে হারিয়ে আবার কলকাতা খেলতে আসার স্বপ্ন ব্যক্ত করেছেন, ‘মোহনবাগান স্বাগতিক ও শক্তিশালী দল এরপরও আমরা সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিয়ে ম্যাচ জিততে চাই। আশা করি চূড়ান্ত পর্ব খেলতে আবার কলকাতায় আসব।’
১৮-২৪ মে কলকাতার বিশ্ব যুব ভারতীতে এএফসি কাপের ডি গ্রুপের চূড়ান্ত পর্ব। মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস, ভারতের গোকুলাম কেরালা ও বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস সরাসরি খেলছে। আগামীকালের প্লে অফ জয়ী দল চতুর্থ দল হিসেবে খেলবে।