২০১০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল কাতার। এরপর থেকে আলোচনা-সমালোচনা পেছনে লেগেই আছে দেশটির। বিশ্বকাপ সামনে রেখে গত ১২ বছরে অত্যাধনিক বেশ কয়েকটি স্টেডিয়াম তৈরি করেছে কাতার।
এই স্টেডিয়ামগুলো বানাতে গিয়ে অনেক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে শুরু থেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছে কাতার। ৭২তম ফিফা কংগ্রেসে বিষয়টি তুলে নরওয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিস ক্লেভেনেস।
তিনি বলেছেন, ‘২০১০ সালে, ফিফা যেভাবে বিশ্বকাপ দিয়েছে সেটা অগ্রহণযোগ্য আর অগ্রহণযোগ্য পরিণতিতে। মানবতা, সমতা, গণতন্ত্র, ফুটবলের মূল বিষয়গুলো শুরুর একাদশে থাকেনি। মৌলিক অধিকার সবসময়ই বদলি হিসেবে থেকেছে। ফিফা পরে বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছে কিন্তু এখনও অনেক পথ বাকি।’
‘কর্মীদের জন্য আলাদা কোনো জায়গা নেই। এমনকি বিশ্বকাপের জন্য কাজ করা কর্মীদেরও নিরাপত্তা দিতে পারেনি। যারা মেয়েদের খেলা আয়োজন করতে পারে না। সত্যিকারার্থেই সমকামী কমিউনিটির নিরাপত্তাও নেই, দর্শকদেরও না।’
তাকে কাতারের বিশ্বকাপ সুপ্রিম কমিটির সদস্য তাওয়াদি বলেছেন, ‘ম্যাডাম, আপনি আমাদের দেশে যান কিন্তু কোনো বৈঠকের অনুরোধ করেন না। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টাও না। আজকে কংগ্রেসে এসব কথা বলার আগে আমাদের সঙ্গে কথাও বলেননি।’
‘আমি সবাইকে অনুরোধ করছি, আমরা সবসময়ই কথা বলতে তৈরি আছি। সবসময়ই গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানাই, যেসব সমালোচনার ভিত্তি আলোচনা সেসবকেও। বিষয়গুলি বোঝা এবং ইস্যুগুলির প্রেক্ষাপট ও তথ্যগুলোর অগ্রগতি বোঝা। আমাদের দরজা সবসময় খোলা যারা বিষয়গুলো বুঝতে চায়। কোনো সিদ্ধান্ত জানার আগে জানতে চায়।’