গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও শ্রীপুরে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দুই শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দুইজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্তরা। বিচারের দাবিতে এক পরিবার ঘুরছে থানা ও আদালতে। কিন্তু আরেক পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রভাবশালীদের ভয়ে।
কালিয়াকৈরে এক শিশুর বাবা-মার চোখে শুধুই পানি। কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সন্তানের উপর চালানো নির্যাতন।
কয়েকদিন আগে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে তাদের ৫ম শ্রেণিপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান প্রতিবেশী স্বপন দাস। সন্তানের সুস্থতার পাশাপাশি অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তাদের।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা-মা বলেন, সে কাঁচি দিয়ে দরজা কেটে ঘরে ঢুকে। আমার মেয়ে যখন মামা বলে ডাক দিছে তখন গলায় ছুরি ধরে। আমার মেয়ে চিৎকার করলে আমরা তাকে ধরার চেষ্টা করলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমরা ওর শাস্তি চাই।
শ্রীপুরে আরেক ৫ম শ্রেণিপড়ুয়া শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্কুলের পাশের দোকানদার হান্নান মোল্লার বিরুদ্ধে।
এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ওসমানের হস্তক্ষেপে টাকার বিনিময়ে তা ধামাচাপা দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসী জানায়, ওসমান আর মজিবর টাকা খেয়ে ঘটনাটি ধামাচাপ দেয়ার চেষ্টা করছে। ঘটনাটি এলাকার অনেকে জানলেও ওই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কথা বলছেন না কেউ।
কালিয়াকৈরের ঘটনায় মামলা হলেও শ্রীপুরে নির্যাতনের শিকার মেয়েটির পরিবারের সবাই লাপাত্তা। পালিয়ে না থেকে তাদের আইনি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান প্রশাসনের।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমীনুল ইসলাম বলেন, যারা অভিযোগকারী বা ভুক্তভোগী তাদের কারো সাথেই যোগাযোগ করতে পারি নি। আমরা বাদীকে আহ্বান করেছি যাতে ভুক্তভোগী মেয়ের পরিবার আমাদের কাছে আসে আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে। আমরা অবশ্যই তাদেরকে আইনি সহযোগিতা দিব।
এ ধরনের ঘটনায় গ্রাম্য সালিশ বন্ধের দাবি এলাকাবাসীর।