মা, সন্তান, শাশুড়ি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছেন। এমন পরিস্থিতিতেও যে কেউই কাজ-কর্ম ফেলে ছুটবেন পরিবারকে সময় দিতে। তবে সাকিব আল হাসান ঘরে ফেরেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তৃতীয় ওয়ানডে শেষ করে তবেই ফিরবেন দেশে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। সেটা হয়ে গেলে গড়া হয়ে যাবে ইতিহাসও। সে হাতছানিতেই হয়তো, সাকিব ফেরেননি দেশে। তার সময় এখন কেমন কাটছে দক্ষিণ আফ্রিকায়? কোনো প্রতিক্রিয়া কি দেখাচ্ছেন সময়ের সেরা এই অলরাউন্ডার? এর জবাবটা দিলেন দলের দুই সদস্য। নির্বাচক হাবিবুল বাশার আর দলের অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ জানালেন, মনের কথা কাউকে বুঝতে দিচ্ছেন না সাকিব।
অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন সাকিব আল হাসানের মা শিরিন আক্তার। এছাড়া ছেলে আইজাহ আল হাসান ও ছোট মেয়ে ইরাম হাসান নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। তারাও হাসপাতালে ভর্তি আছে দাদির সঙ্গে। অন্যদিকে বড় মেয়ে আলাইনা হাসান অব্রি ঠাণ্ডা-জ্বরে ভুগছে।
সাকিবের শ্বাশুড়িও আবার ক্যান্সারে আক্রান্ত। তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সাকিবের মা হার্টের রোগী। অবস্থা কিছুটা খারাপ হওয়ায় তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সবমিলিয়ে পারিবারিকভাবে বেশ সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন টাইগার অলরাউন্ডার।
এর কারণে পরিবারের পাশে থাকতে সিরিজের মাঝেই চলে আসবেন দেশে- এমনটাই ধারণা করা হচ্ছিল। তবে সব ধারণা ভুল করে সাকিব আল হাসান থেকে যান আফ্রিকান মুল্লুকে।
এমন এক সময়ে মনের কোণে ঝড় বয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে সাকিব নাকি সেসব দলকে বুঝতেই দিচ্ছেন না, জানালেন, হাবিবুল বাশার। বললেন, ‘সে (সাকিব) খুব ভালো আছে। স্বাভাবিকভাবে তার মনের মধ্যে তো কিছু আছে, আমরা সবাই বুঝতে পারি। কিন্তু সে কারও সামনে সেটা দেখাচ্ছে না, সে খুবই ইতিবাচক। ড্রেসিংরুমে কেউ এ বিষয়ে কিছু আলোচনা করছে না, ওকে ওর মতো থাকতে দিচ্ছে। ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে ও যে একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেটা কাউকে বুঝতে দিচ্ছে না।’
এদিকে এক ভিডিওবার্তায় মেহেদি হাসান মিরাজও জানালেন একই কথা। বললেন, ‘সাকিব ভাই মানসিকভাবে অনেক শক্ত, আমরা সবাই জানি। পারিবারিক ইস্যু, এটা তো অনেক বড় ইস্যু। সবাই সাপোর্ট করছে। তিনি ভালো খেলছে। পরিবারের সময় খারাপ গেলে তো সবারই খারাপ লাগে। তবে দলের সবাই সাপোর্ট দিচ্ছে।’