বাংলাদেশ দলে এমনিতেই দক্ষিণ আফ্রিকার সাপোর্ট স্টাফের আধিক্য ছিল। তবে রায়ান কুক আর অ্যাশওয়েল প্রিন্স চলে যাওয়ার পর একা হয়ে পড়েন রাসেল ডমিঙ্গো। এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝে আবার প্রোটিয়াদের রাজত্ব। হেড কোচ ডমিঙ্গোর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন পেস বোলিং কোচ অ্যালন ডোনাল্ড, পাওয়ার হিটিং পরামর্শক অ্যালবি মরকেল। সিরিজ শুরুর আগে ডমিঙ্গোর ডাকে একদিন এবি ডি ভিলিয়ার্স সঙ্গে দিয়ে গেছেন টাইগার ক্রিকেটারদের।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দলের টিম হোটেলে আসেন সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স। নিজের ক্যারিয়ারের নানা অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। পাশাপাশি ক্রিকেটারদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন। সে সব খুব কাছ থেকে শুনেছেন ইয়াসির আলি রাব্বি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৩৮ রানে জয়ের পর সংবাদমাধ্যমকে রাব্বি জানালেন, ডি ভিলিয়ার্সের কিছু কথা কাজে লেগেছে তার।
রাব্বি বলেন, ‘অনেক কথার মধ্যে কিছু না কিছু কথা থাকে যেগুলো কাজে লাগে সব সময়ই। ডি ভিলিয়ার্স হোটেলে এসেছিলেন। হ্যাঁ উনি এমন কিছু কথা বলেছেন আমাদের, বিশেষ করে আমার জন্য খুব কাজে লেগেছে।’
অভিষেকে শূন্যের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ১ রান। অনেক প্রতীক্ষার পর জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে ওয়ানডে প্রথম দুটি ইনিংস ছিল এমন। কিন্তু তার সামর্থ্যে আস্থা হারায়নি দল। এর প্রতিদান দিচ্ছেন রাব্বি। দুই ছক্কা ও চারটি চারে ৪৩ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি। তাও এমন সময়ে এমন দুর্দান্ত ইনিংসটি খেললেন, যখন দলের হাল ধরার দরকার ছিল, স্কোর বড় করার দরকার ছিল, অপরপ্রান্তে থাকা সাকিব আল হাসানকে সমর্থন করার দরকার ছিল। তিনটি কাজই করে দেখিয়েছেন দাপটের সঙ্গে।
এমন ব্যাটিংয়ের জন্য পাওয়ার হিটিং পরামর্শক মরকেলকে কৃতিত্ব দিলেন রাব্বি, ‘মরকেলের সঙ্গে আমি দুই দিন একটু পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করেছি। সে আমাকে একটা কথাই বলতো, যত পারো সোজা মারার চেষ্টা করো, সোজা যতটুকু সম্ভব। এটা সেরা অপশন। এটাই ছিল ওর সঙ্গে আমার কাজ। তিনদিনে আসলে এতো বেশি কিছু শেখা সম্ভব না। মূল বিষয় যেটা, সেটাই বলেছেন।’