সিএনএম ডেস্ক:
জেনিফার লোপেজকে কে না চেনেন! তিনি একাধারে মার্কিন অভিনেত্রী, সংগীত শিল্পী, বিনোদন তারকা, উদ্যোক্তা ও প্রযোজক। ইন্টারনেটে সর্বাধিক আলোচিত সেলিব্রিটিদের মধ্যে অন্যতম হলেন জেনিফার লোপেজ।
তাকে নিয়ে সবারই কৌতূহল তুঙ্গে। এর কারণ হলো তার ফিটনেস রহস্য। আজ তার জন্মদিন। জানলে অবাক হবেন, এই সংগীতশিল্পী এবার ৫৪ বছরে পা রাখলেন। তবে তিনি দেখতে এখনও তরুণী। তার ফিটনেস দেখে অবাক পুরো বিশ্ব। ইন্টারনেটজুড়ে সবারই প্রশ্ন ‘জেনিফার লোপেজ কীভাবে ধরে রেখেছেন তার ফিটনেস?’
যদিও নিয়মিত ইনস্টাগ্রামে সরব থাকেন এই জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী। জেনিফার দুই সন্তানের জননী। তিনি একজন ফ্যাশন আইডল। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সচেতনও বটে। অনেকেই মন্তব্য করেন জেনিফারের মেদহীন এই শরীরের অবদান হয়তো লুকিয়ে আছে হাজারও সার্জারিতে।
তবে শরীর ঠিক রাখতে যে জেনিফার কড়া ডায়েট ও নিয়মিত জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করেন তার প্রমাণ আছে ইনস্টাগ্রামে। জানা যায়, জেনিফারের বিখ্যাত দু’জন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকও আছেন। যারা জেনিফারের শরীর ফিট রাখতে সাহায্য করেন।
সপ্তাহে ৪-৫ দিন অন্তত এক ঘণ্টা করে হলেও শরীরচর্চা প্রশিক্ষণ নেন জেনিফার। শরীরের প্রতিটি অংশ পারফেক্ট রাখতে শরীরচর্চা করেন জেনিফার। একজন জনপ্রিয় গায়িকা হওয়ার পাশাপাশি জেনিফার ভালো নাচতেও জানেন।
নিয়মিত নৃত্য অনুশীলন করেন তিনি। জেনিফার লোপেজের মতে, নাচ এমন একটি জিনিস যা আমাকে সত্যিই সুখী এবং সুস্থ রাখে।’ তিনি অ্যাক্রোবেটিক্স ও মেরু নাচের প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন।
জেনিফার ঠিক একজন ক্রীড়াবিদের মতোই নিয়মিত ভারোত্তোলন ও শরীরচর্চা করেন। তবে তিনি কখনও পছন্দের খাবার এড়িয়ে চলেন না। জেনিফার জাঙ্ক ও প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। অবশ্যই তার খাবারে পুষ্টি আছে কি না তা নিশ্চিত করেন।
জেনিফারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, তিনি কার্বোহাড্রেট খাবার এড়িয়ে যান। ওটমিল, আস্ত শস্য, মিষ্টি আলু, কুইনো দিয়ে তিনি সকালের নাস্তা করেন। দুপুরে তিনি সবুজ শাকসবজি ও ফল খান।
অবশ্যই চিনি এড়িয়ে চলেন। ডিম, মুরগি ও টার্কি তার ডায়েটে প্রোটিনের উৎস নিশ্চিত করে। নিজেকে কোনো খাবার থেকেই বঞ্চিত করেন না জেনিফার। তিনি সবকিছুই সীমিত পরিমাণে খান।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ক্র্যাশ বা ফ্যাড ডায়েট তিনি অনুসরণ করেন না। সারা বছর ধরে আমি স্বাস্থ্যকর খাদ্য বজায় রাখার চেষ্টা করি। আমি এখনও আমার পছন্দের কিছু খাবার খাই তবে পরিমিতভাবে। আমি নিজেকে বঞ্চিত করি না।’
খাবার খাওয়ার ইচ্ছা দূর করতে জেনিফার বিশেষ নিয়ম অনুসরণ করেন। এজন্য তিনি প্রতিদিন ১৫ মিনিটের জন্য আঙ্গুরের তেলের ঘ্রাণ নেন। এই পদ্ধতিতে ক্ষুধা দমন করা যায়। এজন্য জেনিফার তার সঙ্গে এই তেল সব সময়ই রাখেন।