আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা লাশ চায়, লাশের রাজনীতি করে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
‘প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলসহ বিএনপির অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলো সাম্প্রতিককালে যে সব অশালীন ও কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্যসহ হত্যার হুমকি দিয়েছে তার প্রতিবাদে’ বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে বিএনপি-জামায়াত ৭৫ এর স্বপ্ন দেখে। ‘৭৫ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেক বার’ এই স্লোগান দিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেখায়। মির্জা ফখরুল সাহেব মনে রাখবেন, বাংলাদেশে আর কোনো দিন ৭৫ ঘটতে দেওয়া হবে না।
তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা কোন পথে হাঁটবেন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ষড়যন্ত্রের নাকি গণতন্ত্রের পথে। গণতন্ত্রের পথে হাঁটলে নির্বাচন কমিশনকে মানতে হবে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে হবে। নির্বাচনকে ব্যর্থ করার, প্রতিহত করার ক্ষমতা আপনাদের নেই।
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আজ খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড মেরে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। সেই শেখ হাসিনাই নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে বাড়িতে এনে রেখেছেন, চিকিৎসা দিচ্ছেন। তারেক রহমান দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি দেশের টাকা লুট করে লন্ডনের অট্টালিকায় থাকছেন। সেখান থেকে লাদেনের ভূমিকা পালন করে কোনো লাভ হবে না।
নানক বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, শেখ হাসিনা সে ষড়যন্ত্রের বিষদাঁত ভেঙে দিয়ে আগামী ২৫ তারিখ স্বপ্নের সেতু উদ্বোধন করবেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন দেশ এগিয়ে চলছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজপথকে ভয় পায় না। এই দল রাজপথের দল। ফখরুল সাহেব আসুন দেখে যান, রাজপথ আজ যুব মহিলা লীগের দখলে আছে।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিলের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন প্রমুখ।