আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, বিএনপি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল। এই দলের কাজ শুধু মিথ্যা কথা বলা। ষড়যন্ত্র করা। এদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ষড়যন্ত্র ছেড়ে বিএনপিকে নির্বাচনে আশার পরামর্শ দিয়ে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ক্ষমতায় যেতে চাইলে ভোটে আসেন। জনগণ ভোট দিলে আমরা স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিবো। নির্বাচনে না এসে পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসবেন! ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসবেন! বিদেশি প্রভুদের মদত মিয়ে ক্ষমতায় আসবেন! এসব চিন্তা ভুলে যান। এগুলো আর বাংলাদেশে হবে না। সেই দিন অনেক আগে চলে গেছে। কোথায় কি হলো তা দেখে খুশি হওয়ার কারণ নেই। বাংলাদেশের মানুষ জানে কাকে কি ভাবে সায়েস্তা করতে হয়।
তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতা কর্মীরা এমপি-মন্ত্রীরা হওয়ার জন্য রাজনীতি করে না। তারা রাজনীতি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালো বেসে। শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে। তারা জানে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশ শান্তিতে থাকে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে মানুষ পেট পেটভরে খেতে পারে। দেশের আশ্রয়হীন মানুষ আশ্রয় পান। আজ দেশের মানুষ শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করে, ফরিয়াদ করে, আল্লাহ যেনো শেখ হাসিনাকে আরও ১’শ বছর হায়াৎ দান করেন। অথচ আজকে সেই সরকারকে বিএনপি জামায়াত উৎখাত করতে চায়।
মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি আরও বলেন, সামনে নির্বাচন। সবাইকে প্রস্তুত হতে হবে। ঘরে ঘরে যেতে হবে। নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য মা বোনকে বোঝাতে হবে। মানুষ শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য আগ্রহ নিয়ে বসে আছে। আমাদের শুধু তাদের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব কাজী মুহিদুল ইসলামের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়ীদুর রহমান, কার্যকরী সভাপতি মো. সাইফুল আলম মানিক, সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্কর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী শফিউল আলম শফিক প্রমুখ।