1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

ভোটে আনতে আওয়ামী লীগ যা করবে

  • আপডেট সময় সোমবার, ৯ মে, ২০২২, ১০.৫২ এএম
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে, এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ধুয়া তুলছে। তবে বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবার কৌশল পাল্টিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
দলীয় সূত্র বলছে, বিএনপি যাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, তার জন্য যা যা করা দরকার সেটি করবে আওয়ামী লীগ। বিএনপিকে এখন থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচিসহ বেশকিছু জায়গায় ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে দলটি। এর মধ্যে আগামীতে বিএনপির ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ছাড়া যেকোনো কর্মসূচিতে আর কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হবে না। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতাকে বেশ কিছু আসন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করছে দলটি, যাতে তারা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করেন। এ ছাড়া ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন ফেয়ার হবে এমন প্রচারণা চালানোয় জোর দিতে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাদের। যাতে বিএনপি মনে করে, তাদের যে জনসমর্থন রয়েছে, তাতে ফেয়ার নির্বাচন হলে তারাই ক্ষমতায় যাবে। শুধু তাই নয়, বিএনপির নেতৃত্বে যাতে জাতীয় সরকার বা নতুন কোনো জোট হয়, সেখানেও পেছন থেকে সহযোগিতা করবে ক্ষমতাসীন দল। এজন্য আওয়ামী লীগের একজন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, দুজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও একজন সাংগঠনিক সম্পাদককে দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তারা যাতে বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা ও নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে যেন নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন, যাতে আগামী নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের যেন উৎসাহিত করেন। মূলত দলটি চায়, বিএনপি বা তাদের নেতৃত্বে জোট গঠন করে হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। এক্ষেত্রে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করছে ক্ষমতাসীন দল। এজন্য দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের আরও কৌশলী হতেও পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ  বলেন, গত ৭ মে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে দলের এক সভাপতিম-লীর সদস্য বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না, এটি উত্থাপন করেন। তখন নেত্রী সাফ বলে দিয়েছেন, আমরা সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেশবাসীকে উপহার দেব। সেক্ষেত্রে যা যা করা দরকার সেটি করা হবে। তখন ওই সভাপতিম-লীর সদস্য জানতে চান, আমরা কী কী করলে তারা নির্বাচনে আসবে। এর উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, সেটি অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আপনাদের সবাইকে আরও কৌশলী হতে হবে, যাতে বিএনপিসহ সব দল নির্বাচনে অংশ নেয়।
কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, নেত্রীর সঙ্গে আমরাও বলেছি, আপনি যেটি ভালো মনে করেন, সেটি হবে। আমরা বিএনপি নির্বাচনে এলে তাদের স্বাগত জানাব। বিএনপিও একটি বড় রাজনৈতিক দল। তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি থাকে। তারা তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো পালন করবে। কারণ বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। সেখানে যেকোনো রাজনৈতিক দল তাদের কর্মসূচি পালন করতেই পারে। সেক্ষেত্রে তাদের কোনো বাধা দেওয়া হবে না। শ্রীলঙ্কায়ও বিরোধীদল বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে, তারাও বাধা দিচ্ছে না। বিএনপিও তাদের নির্বাচনি কর্মসূচি পালন করতে পারবে। দেশের জনগণের কাছে যাবে। গণসংযোগ করবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক।
সূত্র বলছে, গত ৭ মে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে কীভাবে আনা যায় এ বিষয়ে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা চান উপস্থিত নেতারা। পরে শেখ হাসিনা নেতাদের বলেন, যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে ভয় পায় তারাই চায় না বিএনপি নির্বাচনে আসুক, যাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া যায়। তবে আমি চাই সবার অংশগ্রহণ। তাদের কীভাবে নির্বাচনে আনতে হবে, সময় বুঝে ব্যবস্থা নেব। নির্বাচন হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। এ নির্বাচনে আমরা সব দলের অংশগ্রহণ চাই। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোটে যাকেই নৌকা দেওয়া হবে তাকে নিজের দক্ষতায় জিতে আসতে হবে। প্রতিটি নির্বাচনি আসন ধরে জরিপ চলছে। জরিপের আলোকে প্রার্থী বাছাই করা হবে। যাকে দিয়ে বিজয়ী হওয়া সম্ভব তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। এজন্য আপনাদের এলাকায় যোগাযোগ বাড়াতে হবে। কর্মীবান্ধব হতে হবে। সবাইকে নিয়েই কাজ করতে হবে।
রোববার সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে। তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই নির্বাচনে আসতে হবে। আমরাও একটি শক্তিশালী বিরোধীদলকে সংসদে স্বাগত জানাতে চাই। চাইব বিরোধীদলের স্ট্যান্ড থাকুক। আমরা বিএনপিকে বলব তাদের নির্বাচনে আসতে। নির্বাচনে আসা তাদের অধিকার, এটা সুযোগের ব্যাপার নয়। বিএনপি অধিকার প্রয়োগ না করলে তাদের অস্তিত্ব সঙ্কট হবে। তারা সে ধরনের পরিস্থিতি তারা তৈরি করবে না, এটা আমার বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সব দল নির্বাচনে আসুক। বিএনপিসহ সব দলকে নিয়েই ভোট করতে চাই। নিশ্চয়তা দিচ্ছি নির্বাচন ফেয়ার হবে। ইভিএমে ভোট হবে, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকবে। তাদের লোকও সংসদে আছেন। স্পিকার তাদের কথা বলার সুযোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীও চান তারা আসুক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ  বলেন, নির্বাচনের এখন দেড় বছর বাকি। এটা নিয়ে এখনই মাথাব্যথার কোনো কারণ নেই। আমরা চাই বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের অংশগ্রহণ করুক। আমরা আশা করি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা অংশ নেবে। তবে তারা যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে না আসতে চায়, সেটি নির্বাচনের সময় দেখা যাবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন  বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক পন্থা অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে তারা নির্বাচনে সরকার গঠন করবে এই গ্যারান্টি আগেই চায়। তারা অন্য পন্থায় মাঠ ঘোলা করে ক্ষমতায় যেতে চায়। আসল কথা হলো, তারা রাজনীতির ভুল পথে আছে। বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলে, তারাই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করেছে। তারা বিচারপতির বয়স বাড়িয়েছে, ভুয়া ভোটার বানিয়েছিল। এ ছাড়া উচ্চ আদালতের রায়েই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু বিলুপ্ত হয়ে গেছে। অর্থাৎ গণতান্ত্রিক পন্থায় সারাবিশ্বে নির্বাচন হয়, ওই নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করে। তাদেরও উচিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা।
বিএনপি যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে না আসে সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ এককভাবে নির্বাচন করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইভিএমে ভোট হবে। এই ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আমরা চাই, তারা গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচনে আসুক। আর যদি তারা একান্তই না আসে, তা হলে সময় অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও নির্বাচনের অনেকদিন বাকি। তাই এখনই কিছু বলা যাবে না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com