৫৩ রানে অলআউট হয়ে হারটা এসেছে ২২০ রানের বড় ব্যবধানে। লজ্জার এমন হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে গুরুতর এক অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা তাদের অ্যাবিউজ করেছেন বলে অভিযোগ তার।
তিনি বলেছেন, ‘স্লেজিং তো হয়ই। কিন্তু তা যদি অ্যাবিউজের পর্যায়ে চলে যায় তাহলে খুব বাজে হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে ওরা আমাদের অ্যাবিউজ করছিল, খুব বাজেভাবে। যেটা আম্পায়ারও জিনিসগুলো সেভাবে ওদের নোটিশ করে নাই।’
কী ধরনের অ্যাবিউজ করা হয়েছে সেটা বলা যাবে কি না জানতে চাইলে মুমিনুল বলেছেন, ‘না এগুলো জিনিস শেয়ার করা যাবে না। এগুলো আম্পায়াররা হয়তো ওভাবে খেয়াল করেনি। আর ম্যাচ রেফারিকে ওভাবে বলা হয়নি।’
ডারবান টেস্টে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গিয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন সাকিব আল হাসানও। সংবাদ সম্মেলনেও মুমিনুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হয় এই প্রসঙ্গে। টেস্ট অধিনায়ক বলেছেন, নিরপেক্ষ আম্পায়ারে ফিরে যাওয়া উচিত আইসিসির।
তিনি বলেছেন, ‘আম্পায়ারদের বিষয় যেটা বললেন তা আমাদের হাতে নেই। এখন আইসিসির উচিত নিরপেক্ষ আম্পায়ার দিয়ে দেওয়া। আগে কোভিডের কারণে সুযোগ-সুবিধা ছিল না এখন তো সেই অবস্থা ওভাবে নেই। নয়তো এরকম তো অনেক সিরিজেও হয়েছে এবং এই সিরিজেও হলো যে আম্পায়াররা ওদের দেশের পক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে।’
অ্যাবিউজের কারণে কোনো চাপে পড়েছে কি না এ নিয়ে জানতে চাইলে মুমিনুল বলেছেন, ‘না চাপ অ্যাবিউজের জন্য না। আমি তো প্রথমেই বলেছিলাম যে টেস্ট সিরিজে যারা চাপ কাটিয়ে উঠবে তারা জিতবে। তো সেদিক থেকে আমরা চারদিন চাপটা ভালোভাবে কাটিয়ে উঠেছি। কিন্তু শেষেরদিকে তা ধরে রাখতে পারিনি।’
দায়টা নিজের ওপরই বেশি নিয়েছেন মুমিনুল, ‘অবশ্যই অভিজ্ঞদের দায় বলতে আমার দায়টা বেশি কারণ আমি অধিনায়ক। আমি দায়িত্বটা নিতে পারিনি, প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে। অধিনায়ক হিসেবে আমি দুই ইনিংসেই আরও ভালো ভাবে লিড দিতে পারতাম। তাহলে আমাদের ম্যাচের ফলটা ভিন্ন হতে পারত।’