গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরে এক অটোরিকশা চালক যুবকের স্ত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিলেন প্রতিবেশী অপর এক অটোরিকশা চালক। এরই প্রতিশোধ নিতে সুযোগ খুঁজছিলেন ওই গৃহবধূর স্বামী। আর সুযোগমতো তার পরিকল্পনাতেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ভিকটিম ওই অটোরিকশা চালক।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জিএমপি কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমনটাই দাবি করে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেন উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) জাকির হোসেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সিটি করপোরেশনের সারদাগঞ্জ এলাকায় রুবেল হোসেন নামের ওই অটো রিকশা চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত করে জড়িতদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ।
তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে, ভিকটিম রুবেল হোসেন প্রতিবেশী এক নারীকে প্রায়ই উত্যক্ত করতেন। এ নিয়ে ওই নারীর স্বামী আবু জাফর ওরফে আকাশের সঙ্গে তার শত্রুতা তৈরি হয়। এরই জেরে আবু জাফর ওরফে আকাশ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তার সহযোগীদের নিয়ে রুবেলকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। সারদাগঞ্জ হাজী মার্কেট এলাকায় এক পতিত জমিতে নিয়ে রুবেলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তার অটো রিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ শুক্রবার রাতে কাশিমপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মূল পরিকল্পনাকারী আকাশকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে অপর আসামি ফরহাদ হোসেন, জহিরুল ইসলাম ও ইজিবাইকের ব্যাটারী ক্রেতা রাশেদ আহাম্মেদকে গ্রেফতার করা হয়। একইসঙ্গে গ্রেফতারকৃত আকাশের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত রুবেল হোসেন নওগাঁর রানীনগর থানার দেবরাগাড়ী এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং কলেজ শিক্ষার্থী। তিনি করোনার কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় অটো রিকশা চালাতেন বলে জানা গেছে।
গাজীপুরের কোনাবাড়ী থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সাতটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে।