যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের বিরোধী তিন নেতার ষড়যন্ত্রের কারণেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বিদায় নিতে হচ্ছে এবং এই ষড়যন্ত্রে সংশ্লিষ্টদের পাকিস্তানের জনগণ কখনও ক্ষমা করবে না।
বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এই মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, অনাস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ফলে যার বিদায় এখন কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ভাষণের শুরুতেই ইমরান বলেন, ‘আজ আমি দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলার জন্য উপস্থিত হয়েছি। পাকিস্তান আজ এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে তার সামনে দু’টো পথ খোলা আছে।’
‘তার মধ্যে একটি পথে চললে অদূর ভবিষ্যতে পাকিস্তানকে আমরা একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে পাব, আর অপর পথটি আমাদেরকে একটি তল্পিবাহক দাস রাষ্ট্র গঠনের দিকে পরিচালিত করবে।’
ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানকে একটি ন্যায়ভিত্তিক, আত্মমর্যাদাপূর্ণ ও আধুনিক কল্যাণমূলক ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন থেকেই রাজনীতিতে এসেছিলাম।
‘পাকিস্তান রাষ্ট্রের সঙ্গে আমার বয়সের পার্থক্য মাত্র ৫ বছর এবং আমার ১৪ বছরের রাজনীতির জীবনে আমি তিনটি বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি— ন্যায়বিচার, মানবিকতা এবং আত্মমর্যাদা।’
কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হওয়ার পর থেকেই তিনি বিরোধীদের সীমাহীন অসহযোগিতার শিকার হয়েছেন এবং তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ‘ষড়যন্ত্রের’ পেছনে তিনজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদের হাত রয়েছে বলে ভাষণে অভিযোগ তোলেন ইমরান খান।
এরা হলেন শেহবাজ শরিফ, ফজলুর রহমান ও আসিফ আলী জারদারি। এই তিন বিরোধী রাজনীতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চক্রান্তে সরাসরি যুক্ত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
‘সবচেয়ে আপত্তির বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের গোপন আঁতাত। প্রকৃতপক্ষে তারা হলো এক একজন ভাঁড় এবং ভাঁড়ের অর্থ হলো বৈধ দাস।’
সাম্প্রতিক রাশিয়া সফরকে তারা ষড়যন্ত্রের প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন বলে ভাষণে অভিযোগ করেন ইমরান খান। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এ সম্পর্কে তিন রাজনীতিক ‘কান ভারী’ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
‘আমি শুধু একটি কথা বলব— দেশের জনগণ কখনও আপনাদের ক্ষমা করবে না।’