দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় সময় ১০টায় ম্যাচ শুরু, বাংলাদেশের ঘড়ির কাটায় তখন বাজবে ২টা। যথারীতি আধাঘণ্টা আগে টস হয়ে গেল। খেলা শুরুর যথা সময়ই মাঠে নামলো দুই দল দক্ষিণ আফ্রিকা আর বাংলাদেশ। বিপত্তি বাঁধলো বল করতে গিয়ে। সাইড স্ক্রিন জটিলতায় ৩৪ মিনিট বন্ধ থাকল খেলা।
অথচ টস জেতা বাংলাদেশ দল চেয়েছিল, পেসারদের দিয়ে শুরুতে উইকেটে থাকা হালকা ঘাস আর আর্দ্রতার ফায়দা তুলতে। লাভ হলো না তাতে। সেই সেশনে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি সফরকারী শিবির। কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ওঠে ৯৫ রান। দলের এমন পরিণতির জন্য বিলম্ব হওয়া আধাঘণ্টা সময়কে কাঠগড়ায় তুললেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
প্রথম দিনে খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ডমিঙ্গো বলেন, ‘এটা ভালো কিছু ছিল না। ১০টায় (স্থানীয় সময়) শুরু হওয়া আর সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়ার মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে। আধা ঘণ্টা দেরিতে খেলা শুরু হওয়ার পর আমরা শুরুটা ভালো করতে পারিনি। প্রথম সেশনে আমরা গড়পড়তা মানের বোলিং করেছি। তবে লাঞ্চ বিরতির পর ছেলেরা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’
৯৫ রানে কোনো উইকেট না হারানো প্রোটিয়াদের অবশ্য দ্বিতীয় সেশনে চেপে ধরে সফরকারীরা। ৩ উইকেট তুলে নিয়ে দাপট দেখায় বাংলাদেশ দল। তবে তৃতীয় সেশনে আবার খেই হারায়। দিনের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারানো স্বাগতিকদের সংগ্রহ ২৩৩ রান। বাংলাদেশ দলের প্রত্যাশা, দ্বিতীয় দিনের সকালে দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে ডারবান টেস্টে চালকের আসনে বসতে।
ডমিঙ্গো বললেন, ‘তারা ২৩৩ রান জড়ো করেছে। কাল সকালে দুটি উইকেট তুলে নিতে পারলে আমরা ভালো অবস্থানে থাকব। তবে হ্যাঁ, আধাঘণ্টা দেরিতে খেলা শুরু হওয়াটা যেকোনো দলের জন্যই হতাশাজনক হবে।’
স্বাগতিকদের দাবি অবশ্য উল্টো। সাইড স্ক্রিন জটিলতায় খেলা আধাঘণ্টা বন্ধ থাকায় ব্যাটসম্যানদের ক্ষতিটাই বেশি দেখছেন রায়ান রিকলটন। স্বাগতিক এই ব্যাটসম্যানের দাবি, খেলা শুরু হতে দেরি হলে অতিরিক্ত মানসিক শক্তি ক্ষয় হয় অপেক্ষারত ব্যাটসম্যানদের।
রিকলটন বলছিলেন, ‘দেরি হওয়া ব্যাটাসম্যানদের জন্যই বেশি ভোগান্তির। এ সময় মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়। খেলা শুরু হতে দেরি হলে অতিরিক্ত মানসিক শক্তি ক্ষয় হয়। এটা আমাদের সমস্যা সৃষ্টি করেনি, তাই ভাগ্যবান বলতে হবে। ডিন এলগার ও সারেল আরউইয়া ভালো শুরু এনে দিয়েছিল।’