রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার সিনিয়র উপদেষ্টাদের মাধ্যমে বিভ্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধ কতটা খারাপ দিকে যাচ্ছে এবং পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার ওপর কতটা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে সেটিও রুশ উপদেষ্টারা পুতিনকে জানাতে ভয় পাচ্ছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। রাশিয়া গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তার প্রতিবেশী দেশটিতে হামলা শুরু করার পর অনেক ফ্রন্টে ইউক্রেনীয় বাহিনীর কঠোর প্রতিরোধের মুখে পড়েছে এবং অনেক এলাকা তারা পুনর্দখল করতে সক্ষম হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর কেট বেডিংফিল্ড স্থানীয় সময় বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার সামরিক বাহিনী মাধ্যমে বিভ্রান্ত হয়েছেন, যার ফলে পুতিন ও তার সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে ক্রমাগত উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ইউক্রেনে রুশ সামরিক বাহিনী কতটা খারাপ করছে এবং পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কারণে কিভাবে রাশিয়ার অর্থনীতি পঙ্গু হচ্ছে সে বিষয়ে পুতিনকে তার উপদেষ্টারা ভুল তথ্য দিচ্ছেন। কারণ পুতিনের সিনিয়র উপদেষ্টারা তাকে সত্য বলতে খুব ভয় পান।’
কেট বেডিংফিল্ড বলেন, ইউক্রেনে হামলা চালানো যে রাশিয়ার জন্য একটি কৌশলগত ত্রুটি, সেটি দেখানোর জন্যই যুক্তরাষ্ট্র এখন এই তথ্যটি সামনে এনেছে।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবি সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ক্রেমলিন। এমনকি ওয়াশিংটনে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাসও এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে নিশ্চিত করেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিন ও রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ক্রমাগত উত্তেজনা চলছে।’ ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘তার (পুতিনের) সিনিয়র উপদেষ্টারা তাকে সত্য কথা জানাতে খুব ভয় পায়’।
অন্যদিকে ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দারাও বুধবার রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ভেতরের দ্বন্দ্বের কিছু ইঙ্গিত দিয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তাও সতর্ক করেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের বাইরেও এই যুদ্ধের সম্প্রসারণ ঘটানোর চেষ্টা করতে পারে।