অসুস্থতার কারণে লিওনেল মেসি নেই পিএসজিতে। তাকে নিয়েও যেখানে ধুঁকছিল প্যারিসিয়ানরা, তাকে ছাড়া অবস্থা আরও তথৈবচ হলো ফরাসি দলটির। মোনাকোর কাছে হারল ৩-০ গোলে।
তবে মেসিকে না পাওয়া নয়, পিএসজির সমস্যাটা অন্য জায়গায়। অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেই যেন পা কাঁপছে কোচ মরিসিও পচেত্তিনোর দলের। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে সান্তিয়াগো বের্নাবিউয়ের সেই ম্যাচ তো বটেই, পিএসজি ফরাসি লিগে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচেই হেরে বসেছিল। মেসির অনুপস্থিতিতে সে ধারাটা আজও বদলাতে পারলেন না কিলিয়ান এমবাপে, নেইমাররা।
পিএসজির এমন হারের চেয়েও বড় হয়ে উঠেছে মাঠে দলটির তারকাখচিত স্কোয়াডের যুতসই ফুটবল খেলতে না পারাটা। মোনাকোর মাঠেই যেমন, পুরো ম্যাচে লাগাম ছিল স্বাগতিকদের হাতে, পিএসজিকে মনে হচ্ছিল অসহায়।
মেসি চলতি মৌসুমে পিএসজিতে খেলছেন অনেকটা মিডফিল্ডার হিসেবে। মার্কো ভেরাত্তি, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, ইদ্রিসা গেইদের সঙ্গে মিলে দলকে মাঝমাঠে স্থিতি এনে দেওয়া, আক্রমণ গড়ে দেওয়া, সতীর্থদের গোলে যোগান দেওয়ার কাজটা সাধারণত তিনিই করেন এখন। যে কারণে গোলখরা লাগলেও গোলের যোগান বেড়েছে তার, ১১টি গোল করিয়ে ফরাসি লিগের সর্বোচ্চ যোগানদাতা এখন তিনি।
মাঝমাঠে এমন একজনের অনুপস্থিতিতে বেশ ভুগেছে পিএসজি। বলের দখলে এগিয়ে থাকলেও ছিল না কোনো সৃষ্টিশীলতার ছাপ। প্রতি আক্রমণে থরহরিকম্পমান লেগেছে পচেত্তিনোর দলকে।
শুরু স্বাগতিক মোনাকোর দাপট ছিল পিএসজির ওপর। সুযোগ নষ্ট না করলে দশ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত দুই গোলে। তবে চাপটা ধরে রেখেছিল। ২৫ মিনিটে যার ফল পায় দলটি। সতীর্থের বাড়ানো ক্রস থেকে দারুণ এক ব্যাকহিলে গোল করেন তিনি উইসাম বেন ইয়েদের।
পিএসজির সুযোগ আসছিল না তেমন, প্রথমার্ধের সবচেয়ে বড় সুযোগটা এলো সেটপিস থেকে। নেইমারের ফ্রি কিকটা দারুণভাবে ঠেকিয়ে মোনাকোকে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক। ফলে প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে মোনাকো।
বিস্তারিত আসছে…