কাছে গিয়েও পুড়তে হলো হতাশায়। আগের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতেছিল বাংলাদেশ নারী দল। শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও হারিয়ে দিতে পারলে সেটা হতো বড় উৎসবের উপলক্ষ্য। ওই লক্ষ্যে শুরুটাও দারুণ হয়েছিল বোলিংয়ে। ব্যাটিংয়েও চেষ্টাটা এগিয়েছিল অনেক দূর।
শেষ অবধি চার রানে হার হারতে হয়েছে বাংলাদেশ। মাঠেই দেখা গেছে মেয়েদের হতাশা। সমর্থকদের আক্ষেপও প্রকাশ পাচ্ছে। এমন হারের সংবাদ সম্মেলনে আসা অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির কাছেও প্রশ্নটা এল। হারের পর কেমন অনুভূতি হচ্ছে? টাইগ্রেস অধিনায়ক বলছেন, মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেছেন, ‘হতাশা তো থাকবেই। এসব অনেক ক্লোজ ম্যাচ, অনেক বড় সুযোগ ছিল আরও দুই পয়েন্ট নেওয়ার। আমার মনে হয় অনেক বড় একটা সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে, এটার জন্য সবার মন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো টিমকে এত অল্প রানে আটকানো, এরপর খুব কাছাকাছি গিয়ে এরকমভাবে হারা। শেষ পর্যন্ত নাহিদা অনেক লড়াই করেছে, যদি একটা ব্যাটার তাকে সাপোর্ট করতো, রেজাল্ট আলাদা হতে পারতো।’
৭০ রানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাত উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। পরের তিন উইকেট নিয়ে স্কোরবোর্ডে আরও ৭০ রান যোগ করেছে ক্যারিবীয় মেয়েরা। এরপর টাইগ্রেসদের পরিকল্পনা কী ছিল? অধিনায়ক নিগার সুলতানা জানালেন, তারা নাকি দ্রুতই ম্যাচ শেষ করতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের আসলে পরিকল্পনা ছিল, যে প্রসেসটা মেইনটেইন করি এইসব উইকেটে। ১০ ওভার করে ভাগ করে খেলি। হয়তো বোর্ডে রান কম ছিল কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা ছিল ১৪০ রান যত কম সময়ে করা যায়। ৩০-৩৫ ওভারের মধ্যে খেলাটা শেষ করা।’
কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে দেখা যায়নি এই পরিকল্পনার ছাপ। এমন প্রশ্নের ব্যাখ্যায় জ্যোতি বলেছেন, ‘দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়াতেই আসলে স্লো ডাউন করতে হয়েছে একটু। কারণ আপনাকে বুঝতে হবে কখন পেস অন করতে হবে আর কখন অফ। ওই সময় যদি পেস অস করে খেলা হতো, তাহলে খেলাটা আরও দ্রুত শেষ হয়ে যেত।’