লক্ষ্মীপুর: অবশেষে লক্ষ্মীপুরের কিশোর মো. ইয়াছিনের অটোরিকশাটি উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মো. আবু কালামের ছেলে মো. রুবেল হোসেন (৩০), একই এলাকার আছান উল্যার ছেলে মো. নিজাম উদ্দিন (২৪) ও অলি আহম্মদের ছেলে মো. হেলাল (৪৫), ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব চরমনসা গ্রামের শাহ মো. ছবিউল করিমের ছেলে শাহ মো. মঞ্জুরুল করিম নাঈম ও নোয়াখালীর বিনোদপুর ইউনিয়নের শফিপুর গ্রামের মৃত মো. আলীর ছেলে মো. আব্দুল জলিল (৫২)।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে নোয়াখালী র্যাব-১১ এর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানানো হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার সবাই আন্তঃজেলা চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে নোয়াখালীর বিনোদপুর ইউনিয়নের কাদির হানিফ গ্রাম থেকে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে ইয়াছিনের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে। চোরেো অটোরিকশাটি ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে রং পরিবর্তন করে দেয়।
এদিকে কিশোর ইয়াছিনের অটোরিকশা চুরির ঘটনা নিয়ে বাংলানিউজে সর্ব প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এর পরপরই বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়। তার অটোরিকশাটি উদ্ধারে র্যাব এবং পুলিশ পৃথক অভিযান চালায়। অবশেষে র্যাবের জালে ওই অটোরিকশা চোর চক্রের ৫ সদস্য ধরা পড়ে।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি কিশোর ইয়াছিনের অটোরিকশায় গ্রেফতার মো. রুবেল হোসেন ও মো. নিজাম উদ্দিন যাত্রীবেশে ওঠেন। তারা বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে ইয়াছিনকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের পলোয়ান মসজিদ এলাকায় এনে কৌশলে অটোরিকশাটি চুরি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং অনুসন্ধান চালিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুবেল, নিজাম ও হেলাল নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৩টার দিকে নোয়াখালীর মাইজদী থেকে নাঈম ও জলিলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নোয়াখালীর বিনোদপুর এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, অটোরিকশার মালিক মো. জনির মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা অভিযান শুরু করে। এ ঘটনায় মো. জনি লক্ষ্মীপুর সদর থানায় আসামিদের নামে একটি মামলা করেছেন।