বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::

ওমিক্রন শেষেও নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসবে : ড. বিজন কুমার

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ১০.১১ এএম
  • ২৫৩ বার পড়া হয়েছে

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিদায় নিলেও নতুন করে আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট আসবে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন বিশিষ্ট অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। তবে সেটি আর ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবে না বলে জানান তিনি।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ওমিক্রন কেন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অ্যান্টিবডিকে শতভাগ নিষ্ক্রিয় করতে পারছে না? এর কারণ হলো, যে সমস্ত অ্যান্টিবডি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট তৈরি করেছিল, ওই অ্যান্টিবডির বিপরীতেই ওমিক্রনের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। সুতরাং নতুন ভ্যারিয়েন্ট হবেই। কোথায় হবে সেটি বলা না গেলেও এটি নিশ্চিত যে ওমিক্রনের পরও আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট আমরা দেখতে পাবো।

খ্যাতনামা এই অণুজীব বিজ্ঞানী বলেন, ওমিক্রনের মধ্যেও আমরা দেখেছি তিনটি উপ-ধরন তৈরি হয়েছে। সেগুলো হলো বিএ.১, বিএ.২ এবং বিএ.৩। এই তিনটি ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে প্রথম এবং দ্বিতীয়টি একটু কাছাকাছি ছিল। বিএ.১ এর চেয়ে বিএ.২ বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। যদিও এর কারণ নিয়ে সঠিক কোনো গবেষণা নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখছি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের একটি মূল এরিয়া হলো শ্বাসতন্ত্রের উপরিভাগ, আর উপরিভাগে এসি-২ রিসেপ্টরের পরিমাণ খুবই কম। তারপরও কিন্তু ওমিক্রন গ্রো করছে। তারমানে, সে নিজেই অন্য আরেকটি রিসেপ্টর তৈরি করেছে যেটি সঠিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি। এখন যদি নতুন ভ্যারিয়েন্ট এসে আরেকটি নতুন রিসেপ্টর বাইন্ডিং তৈরি করে, তাহলে সেটি আমাদের জন্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।

এর আগে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় মানুষের শরীরে দ্রুত প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে বলে জানিয়েছিলেন বিশিষ্ট এই অণুজীব বিজ্ঞানী।

তিনি জানান, ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়া ভালো; এটি সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়লেই ভালো। কারণ তা (বেশি ছড়িয়ে পড়া) টিকার চেয়ে বেশি কার্যকর।

বিজন কুমার শীল এরপর নিয়ম মেনে জন্মসূত্রে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে এনভিআর (নো ভিসা রিকোয়ার্ড) ভিসা পরিবর্তনের আবেদন করেন। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রচলিত নিয়ম অনুসারে ড. বিজনকে বিদেশি (অন্য দেশের পাসপোর্টধারী) হিসেবে ‘ই-ভিসা’ (এমপ্লয়মেন্ট ভিসা) করার উপদেশ দেয় এবং তার পর্যটক ভিসার মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে দেয়।

বিজন শীল ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান পদে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি করোনার কিট নিয়ে কাজ করছিলেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2015-2025
Theme Developed BY ThemesBazar.Com