করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের তাণ্ডবে সংক্রমণের ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে ফ্রান্সে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ এতোটাই বেড়েছে যে, সেটি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ছাড়িয়েছে পাঁচ লাখের গণ্ডি।
এর আগে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দেশটিতে দৈনিক শনাক্ত প্রায় পৌনে পাঁচ লাখে পৌঁছেছিল। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ফ্রান্সে ৫ লাখ ১ হাজার ৬৩৫ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটির ইতিহাসে এটি একটি রেকর্ড। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র ফ্রান্সেই দৈনিক বিপুল সংখ্যক মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহজুড়ে দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে ৩ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
ফ্রান্সের সরকারি পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, দেশটিতে বর্তমানে ৩০ হাজারেরও বেশি করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসের পর থেকে এই সংখ্যাটি বর্তমানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। অবশ্য এর মধ্যে ৩ হাজার ৭০০ জনের কিছু বেশি মানুষ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রয়েছেন।
করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনের কারণেই দেশটিতে সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট অত্যন্ত সংক্রামক হলেও ডেল্টা ধরনের তুলনায় কম বিপজ্জনক।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ফ্রান্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৬৪ জন। এতে করে করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৪৮৯ জনে।
করোনা সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই গত সোমবার থেকে ফ্রান্সে নতুন করোনা বিধি কার্যকর করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বার ও রেস্টুরেন্টে প্রবেশ এবং ট্রেন ও বিমানে ভ্রমণের জন্য মানুষকে করোনা টিকা নিতে হবে। অর্থাৎ করোনার টিকা নেওয়া ব্যক্তিরাই কেবল এসব সেবা নিতে পারবেন।
ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার ৭৭ শতাংশেরও বেশি মানুষ এখন পর্যন্ত করোনা টিকার উভয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন।