রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে দেশের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এই তথ্য জানিয়েছেন অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, দেশে গত বছরের নভেম্বরের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সংক্রমণ কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এটি ক্রমাগতভাবে বাড়তে শুরু করে। এরপর জানুয়ারিতে এসে আগের বছরের চিত্রটা অনেকটাই পাল্টে গেছে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, অনেকেই ধারণা করছেন করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণেই দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এটি বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রমাণ দিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য নয়। ধরে নিতে হবে দেশে এখনো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। নতুন করে ওমিক্রনের সংক্রমণ সেখানে ঘটেছে। সারা বিশ্বে যেমন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে সরিয়ে ওমিক্রন জায়গা দখল করেছে, ধীরে ধীরে হয়তো বাংলাদেশেও এমনটি হবে।
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের টিকা গ্রহণের হারও বাড়াতে হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশে যত সংখ্যক মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তত সংখ্যক মানুষ টিকা নিচ্ছেন না। তাই আগ্রহের জায়গা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে।
অধিদফতরের এই মুখপাত্র বলেন, ওমিক্রনে ক্ষয়-ক্ষতি কম হয়, ফুসফুস কম আক্রান্ত হয়- এসব ভেবে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনো সুযোগ নেই। ডেল্টা সংক্রমণের সময় আমরা যতটা সচেতন ছিলাম, যতটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছি, এখনো আমাদের সেভাবেই সচেতন হতে হবে।