1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর কে এই সফিক? উত্তরায় খুলেছে নারী বিক্রির হাট কে এই সফিক? উত্তরা খুলেছে নারী বিক্রির হাট। দুবাই, কাতার, সৌদি আরব, মালদ্বীপ, ভারতে পাঁচার হচ্ছে অল্প বয়সি নারী। মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী নিজেদের রাজাকার বলতে তাদের লজ্জাও করে না : প্রধানমন্ত্রী শরীয়তপুরে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ, লুটপাট বন্ধ করার জন্য অভিযোগ জমা পরেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ৪৮ কেজি গাঁজাসহ চারজনকে গ্রেফতার ইবতেদায়ী নূরানীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র নবগঠিত ম্যানেজিং কমিটির পরিচিতি সভা ঈমান …….. মোঃ মনির হোসেন  পুলিশের নাকের ডগায় গার্ডেন ভিউ ও বি-বাড়িয়া আবাসিক হোটেলের সাইনবোর্ডের অর্ন্তরালে মানব পাঁচার ও নানাবিধ অপরাধ কর্ম

মা-ছেলের বন্দী জীবনে মৃত্যুর ঘণ্টা বাজছে

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৯ মে, ২০২১, ৫.৩৯ এএম
  • ৪২৪ বার পড়া হয়েছে
মা-ছেলের বন্দী জীবনে মৃত্যুর ঘণ্টা বাজছে

সিএনএম প্রতিনিধিঃ

রংপুর সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বধূকমলা গ্রামে ৩ ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল অটোচালক আব্দুর রশীদের। হঠাৎ বড় ছেলে দুখল মিয়া (৩০) মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এরপর থেকে তাকে ঘরের ভেতর শিকল বন্দি করে রাখা হয়। এর কিছুদিন পর তার মা দুলালী বেগমও (৫৫) মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকেও আলাদা ঘরে বন্দি করে রাখা হয়। মা ও ছেলের এভাবেই বছরের পর বছর ধরে কাটছে বন্দি জীবন। তাদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন আব্দুর রশীদ। তবু সুস্থ হয়ে ওঠেননি তারা।

মা ও ছেলের বছরের পর বছর ধরে কাটছে বন্দি জীবন

জানা যায়, আব্দুর রশীদের বড় ছেলে দুখল মিয়া প্রায় ১২ বছর আগে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজের জন্য যান। সেখানে কিছুদিন কাজ করার পর অসুস্থ হলে বাড়িতে চলে আসেন। এর পর মানসিক রোগ দেখা দিলে পাগলামি শুরু হয় তার। প্রথমদিকে তার অসুস্থতা কারও জন্য ভয়ের কারণ না হলেও পরে উন্মাদ হয়ে যান দুখল মিয়া।

শরীরে কোনো কাপড় পড়েন না, সব সময় উলঙ্গ থাকেন। গ্রামের লোকজনের ওপর চড়াও হন। যাকে সামনে পান তাকেই মারধর করতেন। ফলে পরিবারের লোকজন প্রায় ৮ বছর থেকে তাকে একটি ঘরে শিকলে বেঁধে রেখেছেন। কেউ কাছে যেতে পারেন না। দূর থেকে তাকে খাবার দেয়া হয়। মলমূত্র ঘরেই ত্যাগ করেন। সারা শরীর কাদামাটিতে মাখা থাকে।

ছেলে বদ্ধ উন্মাদ হওয়ার কিছুদিন পরে মা দুলালী বেগমেরও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তাকেও প্রায় ৭ বছর ধরে পৃথক আরেকটি ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কেউ তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। ঘরেই খাওয়া দাওয়া, মলমূত্র ঘরেই ত্যাগ করেন দুলালী।

অটোচালক আব্দুর রশীদ বলেন, ‘মা-ছেলের চিকিৎসার জন্য যেটুকু আবাদি জমি ছিল সব বিক্রি করেছি। অনেক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছি কিন্তু তারা সুস্থ হয়নি। মা-ছেলের চিকিৎসা করাতে করাতে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। ভিটাবাড়ি ছাড়া বিক্রি করার মতো এখন কিছুই নেই। অটো চালিয়ে কোনো রকমে পেট চালাচ্ছি। স্ত্রী-পুত্রের চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য এখন নেই। তাই স্ত্রীকে একটি ঘরে আর ছেলেকে অন্য ঘরে শিকলবন্দি করে রেখেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্য দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলে বিয়ে করে অন্যত্র চলে গেছে। ছোট ছেলেকে নিয়ে এই দুই রোগীকে সামলাতে হিমশিম খেতে হয়।’

ওই এলাকাবাসিরা জানান, পরিবারটি এক সময় সচ্ছল ছিল। কিন্তু একই পরিবারের দুজন পাগল হওয়াতে চিকিৎসা করাতে করাতে রশীদ মিয়া প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছেন। মা-ছেলের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এলাকাবাসীরা।
সংশ্লিষ্ট ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মামুনার রশিদ মানিক বলেন, ‘ওই পরিবারটির চিকিৎসায় সহায়তার জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে। আবেদন পেলে সিটি মেয়রের মাধ্যমে তাদের সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় চেষ্টা করা হবে।’

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com