এই তো গেলো তাদের প্রেমের ধাপ।অতঃপর তাদের বিয়ে হয়।তারা ব্যস্ত হয়ে যায় সাংসারিক কাজে।মেয়েটা রান্না বান্না ঘর গোছানো শ্বশুর শাশুড়ীর সেবায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।আর ছেলেটা অফিস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।তখন তারা তেমন পরিপাটি সাজে কোথাও বের হয় না।
মেয়েটার নানান অভিযোগ -“স্বামী আমাকে আগের মতো সময় দেয় না অথচ আগে কত সময় দিতো”।ছেলেটারও অভিযোগ থাকে -“আমার স্ত্রী আমার কোনো খোঁজ খবর নেয় না”ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাদের প্রেমকালীন রঙিন ভালোবাসা সাংসারিক জীবনে এসে কিছুটা ধোঁয়াশা হয়ে যায়।এটাই সাংসারিক জীবনের বাস্তবতা। এটা মেনে নিয়েই সংসার চালিয়ে যেতে হয়। দাম্পত্য জীবনেও ভালোবাসা ঠিকই বহাল থাকে তবে তা প্রেমকালীন সময়ের চেয়ে কিছুটা ফ্যাকাশে ও ধূসর।
প্রেমকালীন ভালোবাসা আর সাংসারিক জীবনের ভালোবাসার পার্থক্য খুঁজলে প্রেম ভালোবাসা আর সংসার কিছুই করা হতো না।
অভিযোগ অনুযোগ সংসার জীবনে চিরাচরিত অভিযোগ। প্রেমকালীন সময়ে একে অপরের প্রতি যে আকুলতা আর আবেগ পরিলক্ষিত হয়েছিলো সেই আকুলতা আর আবেগ সংসার জীবনে এসে স্থবির হয়ে যায়।
গুণীজন বলেন-“সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে”,অনেকে এই বাক্যের সাথে আরো একটা বাক্য যোগ করেন-“সাথে থাকে যদি গুণবান পতি”।কথার পিষ্টে অনেক কথাই রয়ে যায়।স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রত্যেকটা মানুষই গুণবান বা গুণবতী।হয়ত সংসার জীবনে সে তার গুণ গুলো প্রকাশ করার অবকাশ পায় না।
এটাই প্রেম,এটাই ভালোবাসা, এটাই সংসার এবং কিছু খুনসুটি আর কিছু অভিযোগ।