বরগুনা প্রতিনিধি:
বরগুনার তালতলীর দক্ষিণ সওদাগর পাড়া এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে মন্টু মিয়া (৫০)। জন্মের পর থেকেই তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমেই তার জীবিকা ও পরিবার চলছে।
গত ১০ বছরের ভিক্ষা করে জমানো এক লাখ টাকা ব্যবসায়িক লাভের জন্য একই এলাকার আব্দুর রব গাজীর (৫২) মাধ্যমে নূর জামাল মুন্সিকে দেন। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক আসল টাকাই ফেরত পাচ্ছিলেন না মন্টু।
গত দেড় বছরেও টাকা ফেরত না পেয়ে স্থানীয়দের দ্বারে দ্বারে ঘুরেন তিনি। তবে কোনো লাভ হয়নি তার। শেষ চেষ্টা করেন তালতলী থানায় অভিযোগ দিয়ে। থানায় অভিযোগ পেয়ে ওসি কামরুজ্জামান মিয়া প্রতারক নূর জামাল মুন্সির কাছ থেকে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করেন। পরে মন্টু মিয়াকে তার কষ্টের টাকা ফেরত দেন।
রবিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে আদায় করা এক লাখ টাকা ভিক্ষুক মন্টু মিয়ার হাতে তুলে দিলেন ওসি মো. কামরুজ্জামান মিয়া।
মন্টু মিয়া বলেন, জন্মের পর থেকেই জীবনটা কষ্টের ভেতর দিয়েই চলছিল। আমার প্রধান পেশা ভিক্ষা। আমার পরিবার নিয়ে চলার একমাত্র আয়ের মানুষ আমি। নূর জামাল মুন্সি এলাকার অনেক মানুষের টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে। সেই প্রতারণার শিকার হই আমিও। পরে উপায় না পেয়ে থানায় অভিযোগ দিলে দুদিনের মাথায় আমার টাকা ওসি সাহেব আদায় করে দেন।
তিনি আরো বলেন, অনেক কষ্টে ১০বছর খেয়ে না খেয়ে টাকাগুলো জমানো হয়েছিলো চিকিৎসার জন্য। টাকাটা পেয়ে আমি অনেক খুশি।
ওসি মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী মন্টু মিয়া থানায় অভিযোগ দিলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। দু’দিনের মাথায় ভিক্ষুক মন্টুর টাকা আদায় করে তার হাতে তুলে দেয়া হয়।