সাভারের সড়ক দুর্ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি সেফ লাইন বাসের চালক মারুফ হোসেন মুন্না (২৪) মারা গেছেন। দুর্ঘটনার দিন ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোমবার (৬ জুন) রাত ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজধানীর শেরে বাংলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ চৌধুরী।
নিহত ওই বাস চালক মারুফ হোসেন মুন্না চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার বোয়ালিয়া গ্রামের মোস্তাফা কামালের ছেলে। তিনি মিরপুর দারুস সালামের লালকুটি এলাকায় থাকতেন। প্রায় ৪ বছর ধরে গাড়ির চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শেরে বাংলা থানা পুলিশ জানায়, রোববার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত এক রোগী মারা যাওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় পুলিশ। পরে নিহতের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
নিহতের স্বজন সৌরভ জানান, মারুফকে উদ্ধার করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান তিনি। আমি খবর পেয়ে হাসপাতালে গেলে রোববার বিকেলে মরদেহ পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে আজ আমরা মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে যাচ্ছি।
এদিকে মামলার বাদী সাভার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক ফজলুল হক বলেন, সেফ লাইন গাড়ির চালক ও আমার দায়ের করা মামলার আসামি মারুফ মারা গেছেন। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি সেফ লাইনের পরিবহনটি ঢাকা-কুষ্টিয়া রুটে চলাচল করতো। বাসের মালিকের নাম ইকবাল। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
ঘাতক বাসটি সম্পর্কে সাভার বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনায় দায়ী সেফ লাইন বাসটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্টো-ব-১৪-৫৮৭৮। গাড়ির ২০১৪ সালের ১৬ জুলাই ফিটনেস ও ২০১৫ সালের ২৪ মে ট্যাক্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে গাড়ির ফিটনেস ও ট্যাক্স ছাড়াই চলছিল।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (৫ জুন) সাভারের বলিয়ারপুরে সেফ লাইন বাসের ধাক্কায় পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের স্টাফ বাসের চালক, দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও আরেক প্রকৌশলী নিহত হন। এ ঘটনায় ঘাতক বাসের অজ্ঞাত চালকের বিরুদ্ধে সাভার হাইওয়ে থানার এ এস আই ফজলুল হক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। তবে বাসের চালকের সন্ধান পাওয়া যায় আজ রাতে। কিন্তু ঘটনার দিনই মারা সেফ লাইনের চালক মারুফ।