আইপিএলে এবার এই ম্যাচের আগে জসপ্রীত বুমরা দশ ম্যাচে পেয়েছিলেন মোটে পাঁচ উইকেট। ভারতের অন্যতম শীর্ষ এই বোলারের উপর সমালচকদের হামলে পড়তে তাই সময় লাগেনি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে তাদের মোক্ষম জবাব দিয়েছেন তিনি। বুমরার বিধ্বংসী স্পেলের পরও অবশ্য আসর জুড়ে ধুঁকতে থাকা তার দল মুম্বাই জয়ের দেখা পায়নি। কলকাতার বিপক্ষে পাঁচ বারের শিরোপাজয়ীরা হেরে গেছে ৫২ রানে।
৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১০ রান খরচায় ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন বুমরা। নিজের বোলিং কোটার শেষ দুই ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। অবশ্য ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা করেছিলেন কলকাতা ইনিংসের ১৫তম ওভারে। নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে দ্বিতীয় বলেই কলকাতার আন্দ্রে রাসেলকে পোলার্ডের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান বুমরা।
সেই ওভারে সেট ব্যাটার নিতিশ রানাও ধরাশায়ী হন তার বোলিং জাদুতে। ৪৩ রানে ব্যাটিং করতে থাকা রানা উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন, তবে মাঠের আম্পায়ার সেটা বুঝতে পারেননি, শেষে ডিআরএসের স্নিকো মিটারে ধরা পড়ে ব্যাটের সূক্ষ্ম ছোঁয়া। আর তাতেই ওই ওভারে মাত্র ৪ রান খরচায় দুই উইকেট শিকার হয়ে যায় বুমরার।
বুমরার তৃতীয় ওভারে তো তাকে বুঝেই উঠতে পারেননি কেউ। শেলডন জ্যাকসন, প্যাট কামিন্স, সুনীল নারাইনরা কেউ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। ট্রিপল উইকেট মেইডেনের সঙ্গে সেই ওভারে ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারও হয়ে যায় তার। আর নিজের এবং ইনিংসের শেষ ওভার থেকে দেন মাত্র ১ রান।
এবারের আসরের সেরা বোলিং ফিগার অর্জনের পথে সবগুলো উইকেটই শর্টার লেংথের বলে তুলে নিয়েছেন বুমরা। টি-টোয়েন্টিতে এর আগে শুধু এই লেংথে বোলিং করে কেউ পাঁচ উইকেট তুলে নিতে পারেনি।
তবে তার এই জাদুকরী বোলিংয়ের পরও ম্যাচ জিততে পারেনি মুম্বাই। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে গুঁটিয়ে গেছে ১১৩ রানে। এবারের আসরে ১১ ম্যাচে এটি মুম্বাইয়ের নবম পরাজয়।
ম্যাচের পর তার বোলিংয়ের প্রশংসায় মেতে উঠেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটাররা। রবি শাস্ত্রী টুইট করেছেন, ‘বুমরা দেখাচ্ছেন আসল বস কে। আশা করি, তরুণরা দেখছে।’
এবারের আসরে বুমরার বোলিংয়ের ধার কমে যাওয়া নিয়ে যারা সমালোচনা মুখর হয়েছিলেন এই পারফরম্যান্সের পর তাদের পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন যুবরাজ সিং, ‘দুঃখিত, বুমরা প্রসঙ্গে আপনারা কি যেন বলছিলেন? ফর্মে উপর-নিচ হতে পারে, তবে বুমরা একজন জাত ক্রিকেটার।’