মানিকগঞ্জ পৌরসভার উত্তর সেওতা এলাকা থেকে সানজিদা আক্তার রূপা (২৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সানজিদা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বনগ্রাম এলাকার শহীদুল ইসলামের স্ত্রী। লাবিব হোসেন নামে তাদের তিন বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সানজিদার স্বামী শহিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও গৃহবধূর স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে নাগরপুরের বনগ্রাম এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে শহীদুল ইসলামের সঙ্গে পাশের মাহমুদনগর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের মেয়ে সানজিদার বিয়ে হয়। মানিকগঞ্জ শহরের উত্তর সেওতা এলাকার জনৈক নূরুল ইসলামের বাসার পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে শহীদুল স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে থাকতেন। শহিদুল মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ফার্মেসিতে ওষুধের ব্যবসা করেন।
আরও জানা গেছে, বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে স্বর্ণালংকার ও আসবাবসহ গৃহস্থ সামগ্রী দেওয়া হয়। তবে বিয়ের দুই বছর পর থেকে সানজিদার কাছে যৌতুকের টাকা দাবি করে আসছিলেন শহীদুল। এ নিয়ে সানজিদাকে মারধরও করতেন। হঠাৎ বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সানজিদার মৃত্যুসংবাদ পায় তার স্বজনরা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত সানজিদার ভাই মনিরুল ইসলাম বলেন, বিকেল পাঁচটার দিকে শহীদুলের ভগ্নিপতি নাসির হোসেন আমাকে মুঠোফোনে জানান, আমার বোন আত্মহত্যা করেছেন। পরে সন্ধ্যায় গিয়ে দেখি বোনের লাশ ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে খাটের ওপর পড়ে আছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের টাকার জন্য শহিদুল সানজিদাকে মারধর করত। আমার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর খাটের ওপর রাখে। এরপর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার প্রচার করে তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, খবর পেয়ে একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।