পাকিস্তানে দ্রুত পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক ঘটনাবলীর ওপর নজর রাখছে চীন। গতকাল বেশ কিছু ঘটনার মধ্যে দিয়ে গেছে পাকিস্তানের রাজনীতি।
শুরুতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়, এরপর ইমরান খান পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন। সে অুনযায়ী দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এরপর স্পিকারের সিদ্ধান্তকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে শেহবাজ শরিফকে নতুন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন বিরোধীরা।
এদিকে ইমরান খানের অভিযোগ তার সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে চীন। সরকারিভাবে এ বিষয়ে এখনও কোনো বিবৃতি দেওয়া না হলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইমরান খানের অভিযোগ নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে। পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট কাসিম সুরি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর যৌথ অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, ইসলামাবাদে রাজনৈতিক কৌশলের মধ্যে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ইমরান খানের সুপারিশে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। ইমরানের বিদেশি ষড়যন্ত্রের অভিযোগও তুলেছে সিনহুয়া।
স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে থাকার আহ্বানও জানিয়েছে চীন। গত ৩১ মার্চ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, চীন সব সময় অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলে।
সংসদে ইমরান খানের সম্ভাব্য পরাজয় এবং বেইজিংয়ের ওপর নেতৃত্ব পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে চীন উদ্বিগ্ন কি না তা জিজ্ঞাসা করা হলে ওয়েনবিন বলেন, ‘পকিস্তানের কৌশলগত মিত্র, অংশীদার ও বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী হিসেবে চীনের সব ধরনের আশা রয়েছে যে, পাকিস্তানের সব পক্ষই সংহতি বজায় রাখতে পারবে এবং যৌথভাবে উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারবে।