বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষার হার কম ৷ সাবেক দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার এক্ষেত্রে একটু ভিন্ন পথের পথিক। ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডের কয়েকবার দ্রুততম মানবীর মতো পড়াশোনাতেও চারটি প্রথম শ্রেণি অর্জন করেছেন শিরিন। অতি সম্প্রতি তিনি মাস্টার্স অফ ফিজিক্যাল এডুকেশনে (এমপিএড) প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি গত সপ্তাহে এই ফলাফল পান। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ২০২০ সালে বিপিএডে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। শারীরিক শিক্ষার এই কোর্স সাধারণত ক্রীড়া অফিসার ও ভবিষ্যতে কোচিং লাইনে আসবেন যারা তারা করেন৷ এখনো ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে শিরিন। এরপরও আগেভাগে দুই ডিগ্রি নেয়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষের পরপরই বিপিএড করি। পড়াশোনা-পরীক্ষার ধারাবাহিকতা যেন থাকে। ছেদ পড়ে গেলে পুনরায় কড়া কষ্টকর। ভবিষ্যতে কোচিং করাতে চাই তাই আগেভাগেই ডিগ্রি নিয়ে রাখলাম।’
ফিজিক্যাল এডুকেশনের মতো সাধারণ শিক্ষাতেও দুটো প্রথম শ্রেণি কয়েকবারের দ্রুততম মানবীর, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামি ইতিহাস থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছি। দুটোতেই প্রথম শ্রেণি। সব মিলিয়ে আমার চারটি প্রথম শ্রেনীর সনদ।’
চারটি প্রথম শ্রেণি সনদের পরেও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন শিরিন। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রীড়া বিজ্ঞান নিয়ে মাস্টার্সে পড়াশোনা করছেন। খেলাধুলা ও পড়াশোনার মধ্যে ভালো সমন্বয় করছেন এই দ্রুততম মানবী। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন বিকেএসপির শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালে অনার্স ও ২০১৯ সালে মাস্টার্স পাশ করেন। এরপর ২০২০ সালে বিপিএড করেন। বিপিএড শেষে এমপিএডও সম্পন্ন করলেন।