সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত হতে যাওয়া নির্বাচন কমিশনে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পক্ষে একজন প্রতিনিধি চায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গোটা দেশ ও জাতি বর্তমানে গঠিতব্য নির্বাচন কমিশনের দিকেই তাকিয়ে আছে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে যে অনুসন্ধান কমিটি গঠিত হয়েছে, আমরা মনে করি যথাযথভাবে আইনের আলোকে গঠিত এ কমিটি আগামী নির্বাচন যাতে নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন হয় তার দিকে দৃষ্টি রেখে সর্বজনমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ১০ সদস্য বিশিষ্ট তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে দেবে। এমনি এক সময় আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা অনুসন্ধান কমিটি এবং রাষ্ট্রপতির কাছে আকুল আবেদন জানাই, নির্বাচন কমিশনে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে যোগ্য এবং সর্বজনমান্য একজন প্রতিনিধি যাতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন, সে বিষয়টিকে যথাযথ বিবেচনায় নিয়ে তাদের অংশীদারীত্ব-প্রতিনিধিত্ব যেন নিশ্চিত করা হয়।
রাণা দাশগুপ্ত বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান ভোটারদের মধ্যে অন্তত ১২ শতাংশ ভোটার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত। আগে গঠিত নির্বাচন কমিশনগুলোতে এ সম্প্রদায়ের কোনো প্রতিনিধিত্ব না থাকায় আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, নির্বাচনের পূর্বাপর সময়কালের পরিস্থিতি যেমনিভাবে তাদের বিবেচনায় আসেনি তদ্রুপ অন্তবর্তীকালীন পর্যায়েও নির্বাচনের তারিখ ও সময়সূচি নির্ধারণে তারা এদের ধর্মীয় অনুভূতিকেও বিবেচনায় আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। যে কারণে অনভিপ্রেত পরিস্থিতিরও মুখোমুখি হতে হয়েছে গোটা দেশ ও জাতিকে, যা কারও কাম্য নয়। আমরা এ অবস্থার অবসান চাই। আপনাদের অবগতির জন্য বলতে চাই, গত পরশু ১২ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে অনুসন্ধান কমিটির বরাবরে আমরা এক পত্রপ্রেরণ করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও প্রমুখ।