বলিউড বা হলিউডের মতো না হলেও বাংলাদেশেও রয়েছে চীনা চলচ্চিত্রের ভক্ত। ভিন্নধর্মী সামাজিক প্রেক্ষাপট বা অ্যাকশন দিয়ে বহু মানুষের মন জিতে নিয়েছে চীনা চলচ্চিত্রগুলো।
২০২১ সালে চীনের চলচ্চিত্রের মোট বক্স অফিসের আয় হয় ৪ হাজার ৭শ ২৫ কোটি ৮০ লাখ ইউয়ান; বাংলাদেশি টাকায় যা ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি।
এ বছরে বক্স অফিসে শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখা চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘হাই, মম,’ ‘মাই কান্ট্রি, মাই প্যারেন্টস,’ ‘চাইনিজ ডক্টটরস,’ ‘দ্য ব্যাটল অ্যাট লেক চাংজিন।’
এরমধ্যে ‘হাই, মম’ দেখিয়েছে মাতৃপ্রেমের উষ্ণতা। ‘মাই কান্ট্রি, মাই প্যারেন্টস’ চলচ্চিত্রে বাবা-মায়ের নিঃস্বার্থ উৎসর্গের প্রশংসা করা হয়েছে।
নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর চিকিৎসকদের পরিশ্রম দেখিয়েছে ‘চাইনিজ ডক্টটরস’ এবং মার্কিন হামলা প্রতিরোধ ও উত্তর কোরিয়াকে সাহায্যের চেতনা ফুটে উঠেছে ‘দ্য ব্যাটল অ্যাট লেক চাংজিন’ সিনেমাতে।
‘দ্য ব্যাটল অ্যাট লেক চাংজিন’ এবং ‘হাই, মম’ চলচ্চিত্র দুটি চীনা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে বক্স অফিসের প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে। এছাড়া বিগত বছর চীনে মোট ৫৬৫টি ফিচার ফিল্ম তৈরি হয়।
এসব চলচ্চিত্র ছাড়াও ‘১৯২১,’ ‘ক্লিফ ওয়াকার্স’ এবং ‘সিস্টার’ও ভালো করেছে বক্স অফিসে।
গেল বছরে চীনের চলচ্চিত্র বাজারের ওপর দৃষ্টি দিলে দেখা যায়, প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ দিবসের ছুটিতে মূল ধারার চলচ্চিত্রগুলো বক্স অফিসে ভালো করেছে।
চায়না ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড কমিউনিকেশন একাডেমির অধ্যাপক ইন হোং বলছেন, ব্যক্তি থেকে শুরু করে শক্তিশালী ধারা, ওডিটোরি সেন্সের ওপর জোর দেওয়া হলো মূলধারার নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণের মৌলিক নিয়ম। শুধুমাত্র এই ধরনের নিয়মের অধীনে তৈরি চীনা চলচ্চিত্রের ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ উন্নয়নের সংযোগে অগ্রগতি হবে।
‘১৯২১’ এর সহ-পরিচালক চেং তা শেং বলছেন, মহামারির কারণে ইউরোপে গিয়ে চলচ্চিত্রটির শুটিং করা সম্ভব হয়নি। তাই শাংহাইয়ে উচ্চ-প্রযুক্তির মাধ্যমে অধিকাংশ দৃশ্য দেখানো হয়।
সূত্র : চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল।