এস.ইসলামঃ
রাজধানীতে গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করছে কিছু পরিবহন। এর মধ্যে লেগুনা ও প্রাইভেটকার অন্যতম।করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে চলছে ‘লকডাউন’। স্বাস্থবিধি মেনে চলার শর্তে গণপরিবহন চালুর অনুমতি থাকলেও কোথাও কোনও স্বাস্থ্যবিধি নেই।
সোমবার (১৭ মে) সকালে যাত্রাবাড়ি গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রাবাড়ি থেকে ডেমরা চলাচলরত লেগুনাগুলো গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করছে। এসব লেগুনায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
একই চিত্র দেখা গেছে জুরাইন এলাকায়। সেখানকার সাধারণ যাত্রীরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি লেগুনায় দুই পাশে ৬ জন যাত্রী বসতে পারে। কিন্তু সেখানে প্রতিপাশে ৬ জন করে ১২ জন যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া লেগুনার পেছনে হেলপাররা সঙ্গে দাঁড়িয়ে ও চালকের পাশের আসনে বসিয়েও যাত্রী বহন করা হচ্ছে।
লেগুনার এক যাত্রী আলম বলেন,‘স্বাস্থ্যবিধি বলতে কিছুই নেই। পাশাপাশি বসিয়ে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। এভাবে না চড়েও উপায় নেই। রিকশায় অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। তাদের কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা তো অনেকটা জিম্মি।’
নয়াবাজার থেকে গুলিস্তান রুটে চলাচলরত লেগুনাগুলোও মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। লেগুনাগুলোর দুই পাশে ৫ জন করে ১০ জন যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে বেশি। আগে এই স্থানটি থেকে ১০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হলেও এখন ১৫ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মচারী রাম চন্দ্র বলেন, ‘আগে ১০ টাকা ভাড়া নিতো, এখন ১৫ টাকা নেয়। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা থাকলেও সেটা মানছে না। ব্যাপারটা এমন, পরলে পাঁচ জনের সিটে ছয় জন নিচ্ছে।’
দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় রাজধানী ঢাকার বাইরের জেলাগুলো থেকে প্রাইভেকারে কর্মস্থল ঢাকায় আসতে দেখা গেছে মানুষজনকে। এসব কারে প্রতি সিটে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে তিন থেকে চার গুণ বেশি।
ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন ব্যবসায়ি নাজমুল।
সোমবার সকালে একটি প্রাইভেটকারে ফেনী থেকে ঢাকায় এসেছেন। তবে ভাড়া গুনতে হয়েছে এক হাজার ২০০ টাকা।
নাজমুল বলেন, ‘আগে গণপরিবহনে এই পথে ৩০০ টাকায় যাতায়াত করতাম। আজ এক হাজার ২০০ টাকা দিতে হয়েছে। প্রতি সিটে যাত্রী পরিবহন করেছে প্রাইভেটকার।’