সিএনএমঃ
নড়াইল জেলা হতে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ০১ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
গত ১৩ বছর আগে ভিকটিম মোঃ ইবাদুল শেখের সঙ্গে আমেনা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। ইবাদুল পেশায় ভ্যান চালক হওয়ায় সংসারে অভাব অনটন নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। ভিকটিম এবাদুলের নিজের বাড়ি ও শশুর বাড়ি পাশাপাশি গ্রামে হওয়ায় আমেনা খাতুন প্রায় তার বাবার বাড়িতে চলে যেত। সাংসারিক অশান্তির কারণে ২০২০ সালের মে মাসের ৯ তারিখে আমেনা খাতুন তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। ঘটনার দিন রাতে ইবাদুল তার স্ত্রীকে ফেরত আনতে শশুর বাড়ি আমতলা গ্রামে যায়। পরের দিন সকালে ভিকটিম ইবাদুলের বাবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারে তার ছেলে আত্মহত্যা করেছেন। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে ভিকটিমের বাবা ঘটনাস্থলে পৌছে দেখতে পায় তার ছেলে ইবাদুল তার শশুর বাড়ির পাশে বাঁশের সঙ্গে গামছা পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছে। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় ভিকটিমের বাবা ও স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ভিকটিমের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা সবুর শেখ বাদী হয়ে গত ইং ০৮/০৬/২০২০ তারিখ নড়াইল জেলার কালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করে। আইনশৃংখলা বাহিনী কর্তৃক আসামী আমেনা বেগমকে উক্ত হত্যা মামলা মূলে গ্রেফতার পূর্বক জেল হাজতে প্রেরণ করলে, সে বিজ্ঞ আদালত হতে জামিন পেয়ে নিজেকে আত্মগোপন করে। অপর দিকে বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও বিশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ০৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের সাজা প্রদান পূর্বক গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।
র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল উক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, নড়াইল জেলার সদর থানাধীন মাছিমদিয়া এলাকায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আমেনা খাতুন আত্মগোপনে আছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে ইং ১২/১১/২০২৩ তারিখ রাতে গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ১। আমেনা খাতুন (৩৫), স্বামী- মৃত ইবাদুল ইসলাম @ ইবাদ শেখ, পিতা- মৃত ছিদ্দিক ফকির, সাং- আমতলা, থানা- কালিয়া, জেলা- নড়াইল’কে গ্রেফতার করে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে নড়াইল জেলার কালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।