অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় মানবাধিকারকর্মীকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্রমূলক গণধর্ষণ মামলা
নারী পাচারকারী ও নারী ঘঠিত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এইচ.আর.এইচ.এফ. মানবাধিকার কর্মী মোঃ আলমগীরকে ঐ পাচারকারী সদস্যরা এক নারীকে দিয়ে সাজানো ষড়যন্ত্রমূলক গণধর্ষন মামলায় ফাঁসায়। তিনি ২৯দিন জেল খাটার পর আদালত হতে জামিনে মুক্ত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি মহোদয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আবেদনটিতে উল্লেখ করেন যাহার বিষয় :-
আলমগীর বলেন তিনি একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী, ব্যবসায়ীক কাজের ফাঁকে ফাঁকে দেশ ও জনস্বার্থে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত সরকারের মহতী উদ্যোগগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে সমাজের নানাবিধ অপরাধ ও জড়িত ব্যক্তিবর্গদের তথ্য সংগ্রহ পূর্বক তথ্যপ্রমাণাদীসহ অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদনপত্র প্রেরণ করে আসছি।
এরই ধারাবাহিকতায় ডিএমপিসহ দেশ-বিদেশের নারী গঠিত ব্যবসায়ী ও পাচারকারী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, নানা অপকর্মের গডফাদার ও তাদের গোপন সহায়তাকারী যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি তদন্ত শিকদার মুহিতুল আলম বিপি-৭৩৯১০০৬৫০৫ গণদের বিরুদ্ধে গত ২০/১০/২০২২ইং তারিখ পুলিশ হেডকোয়াটার্স যাহার ঝখ নং-৪৮২, ও তারিখ-০২/০৬/২০২২ইং, ঝখ নং-৯৩৯ এবং ঝখ নং ৫৮৯ তারিখ-৩০/০৬/২০২২ইং এছাড়াও আরো কয়েকটি জামালগণদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ প্রদান করি। উক্ত অভিযোগ পত্রের অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে আমার জবানবন্দি স্বাক্ষ্য গ্রহণের জন্য গত ০২/০১/২০২৩ইং তারিখ জনাব মোঃ বেলায়েত আলী বিপি নং-৬৪৮৭০১১০৩৭, সহকারী পুলি কমিশনার সুপ্রীম কোর্ট এন্ড স্পেশাল কোর্ট সিকিউরিটি বিভাগ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা স্বাক্ষীর দিন ধার্য্য করেন।
নোটিশ দেওয়ার কৌশলে গ্রেফতার
ডি.এম.পি. যাত্রাবাড়ী থানা হতে গত ২৭/১২/২০২২ইং তারিখ নোটিশ গ্রহণের জন্য থানার এএসআই হাফিজ মোবাইল নং-০১৭২১৩৩১৮০০ হতে আমার ব্যবহৃত মোবাইল ০১৮৬৫৮১০১৫৪-এ কয়েকবার ফোন করে উক্ত নোটিশ গ্রহণের জন্য আমাকে ডাকেন। এক পর্যায়ে আমি ২৭/১২/২০২২ইং তারিখ (আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.১৫ ঘটিকার সময়) আলম ও আবুল নামক দুই ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে তার ডিউটি এলাকা মানিকনগর বিশ্বরোড চেকপোষ্টে গিয়ে তার সাথে কথা বললে তিনি নোটিশটি আমাকে দেন নাই। পরবর্তী নোটিশের বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাজাহারুল সাহেব এর ফোন নং-০১৩২০০৪০৫০৯-এ ফোন করে নোটিশের বিষয়টি বলি, তখন ওসি সাহেব আমাকে থানায় যেতে বলে এক পর্যায়ে আমি রাত (আনুমানিক রাত ৮.০০ ঘটিকায়) যাত্রাবাড়ী থানা গেলে থানার অফিসার ইনচার্জ সাহেব এএসআই হাফিজকে ডেকে নোটিশটি আমাকে দেন।এএসআই হাফিজকে দিয়ে আমাকে ওসি তদন্তের রুমে পাঠান এবং বলেন অভিযোগের বিষয়টি মিলমিশ করে আপোষ মিমাংসা করে নিতে বলেন। কোন ভুল বুঝাবুঝি থাকলে দুইজনকে মিলমিশ করে নিতে বলেন। ওসির রুম থেকে বের হতেই দেখি আমার দায়েরকৃত শ্যামপুর থানার মামলা নং-০৩, তারিখ-০১/১০/২০২২ইং এর অজ্ঞাতনামা আসামী ওসি তদন্তের রুমের সম্মুখে ঘুরঘুর করছে এবং আমি উক্ত আসামীর সাথে কথাও বলি, তখন আসামী জানান এখান হতে আমি গ্রেফতার হবো না আপনি নিজেই থানা থেকে যেতে পারবেন না, আপনাকে আটকানোর ফাঁদ পাতা আছে। এক পর্যায়ে আমি ওসির রুমে ডুকে বিষয়টি ওসির সাহেবের কাছে বলার জন্য বসে থাকি, কিছুক্ষণ পর ওসি মাজাহার সাহেব এবং ওসি তদন্তকে সাথে নিয়ে আমার সম্মুখে এসে আমাকে বলে আমার নামে নাকি থানায় গণধর্ষন মামলা আছে, তাই আমাকে গ্রেফতার করা হলো।
ক্ষমতার অপব্যবহার
এক পর্যায়ে আমার মামলার আসামীকে গ্রেফতার না করে ওসি তদন্ত কৌশলে পালানোর সুযোগ করে দেয়। এক পর্যায়ে আমি ঘটনা জানার পর বলি উক্ত মামলায় যে আলমগীর হোসেন (৩২) পিতা ও ঠিকানা অজ্ঞাতকে আসামী করা হয়েছে সেই ব্যক্তি অন্য কেউ হতে পারে। মামলার বাদী ভিক্টিমকে থানা এনে দেখান, আমি তার আসামী কি না? এবং মামলায় যাকে আসামী উল্লেখ করা হয়েছে আমি সেই ব্যক্তি কি না ? বাদীর শনাক্ত হলে আপনারা আমাকে গ্রেফতার করেন। আপনারা ভূল করছেন, তখন ওসি তদন্ত শিকদার মুহিতুল আলম বিপি-৭৩৯১০০৬৫০৫ ক্ষমতার অপব্যবহার পূর্বক বলেন শালা তোকে আটকাইছি ছাইড়া দেওয়া জন্য না! এজাহারে নাম যাই থাকুক সেটা বুঝুম পরে, এজাহারে উল্লেখিত নামেই তোরে চালান দিমু! আদালতে যাইয়া বুঝিস। তোর সাথে আদালত বুঝব, জেল খাইট্টা আয়, তারপর দেখা যাইব! এদিকে ওসি মাজাহারুল ইসলাম বলেন-আপনাকে গ্রেফতারের বিষয়টি ওয়ারি বিভাগের ডিসি স্যার জেনে গেছে তাই ছাড়া যাবে না। এক পর্যায়ে আমাকে থানা লকাপে নিয়ে মামলায় গ্রেফতার করে।
অপেশাদারিত্ব আচরণ ও হুমকি
আমাকে গ্রেফতারের বেশ কিছুক্ষন পর থানার লকাপ হতে আমাকে বের করে ফিঙ্গার নেওয়ার নামে কম্পিউটার রুমে এনে ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইনিসপেক্টর জাকির এর অনুপস্থিতে আমাকে ওসি তদন্ত শিকদার মুহিতুল আলম অপেশাদারিত্ব আচরণ পূর্বক হুমকির সুরে বলে আমি যেন শ্যামপুর থানার মামলা ও তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগগুলো তুলে নেই। তা নাহলে আমি জেল হতে বের হওয়ার পর আবারও জেলে যেতে হবে। নয়তো বিভিন্ন রকমের সাজানো মামলায় ফাসিয়ে আমাকে ক্রিমিনাল বানিয়ে র্যাব ডিবি, পুলিশ যারা তার কলিগ বা সু-সম্পকের লোক তাদের দ্বারা ক্রসফায়ার বা বন্ধুক যুদ্ধের মাধ্যমে হত্যা করার ব্যবস্থা করা হবে বা তার লালিত ও গোপন সম্পর্ককৃত দেশে বহু সন্ত্রাসী রহিয়াছে, তাছাড়া জাবেল হোসেন পাপন, পিতা-মির আতাহার, সাং-নাজিরাবাগ, মাঠের কোনা, থানা-দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা বাহিনী দ্বারা আমাকে অপহরণপূর্বক হত্যা করে লাশ গুম করা হবে। নয়তো বিভিন্ন নাটকীয় মামলায় ফাঁসিয়ে জীবনের তরে জেল-হাজতে ডুকিয়ে রাখা হবে।
সত্য প্রকাশ
এক পর্যায়ে পরদিন ২৮/১২/২০২২ইং তারিখ আদালত হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ জেল হাজতে যাওয়ার পর বহু খোজাখুজি করে আমার কেস পাটনার যাত্রাবাড়ী থানার ৪২নং মামলার ২নং আসামী মিরাজের সাথে দেখা করি এবং মামলার মূল ঘটনা জানি। মিরাজ জানায়-ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী মামলা হয় উক্ত মামলায় মোঃ সেলিম (২৮) ও যে আলমগীর হোসেনকে আসামী করা হয়েছে সেই ব্যক্তিতো আপনি না। যাত্রাবাড়ী থানার ৪২নং মামলার এজাহারে ৩নং আসামী আলমগীর হোসেন যাহার বয়স ৩২ বছর পিতা ও ঠিকানা অজ্ঞাত, উক্ত আসামীকে বাদী ভালোভাবেই চিনে আর আপনার বয়স হলো ৫২ বছর নাম মোঃ আলমগীর, আবার বাদী আপনাকে চিনেও না তবে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ আপনাকে অসৎ উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়েছে।
জেল গেটে গিয়ে হুমকি
এরপর গত ২০/০১/২০২৩ইং তারিখ দুপুর ১২ঘটিকার সময় জেলের ভিতর একটা দেখার টিকেট পাই, ১২.৩০ মিনিট হতে ১.০০ পর্যন্ত স্বাক্ষাতের গেটে এসে দু‘তলায় দাড়িয়ে দেখতে পাই আমার দেখা টিকেটটি কেটেছে যাত্রাবাড়ী থানার আমার ৪২নং মামলার এক পলাতক ১নং আসামী জামাল উদ্দীন সরকার, সে আমার সাথে টিকেট কেটে দেখা করে বলে ওসি তদন্ত মহিতুল আলম ও তাদের বিরুদ্ধে আমি যে মামলা অভিযোগ করেছি তাহা যদি তুলে নেই তাহলে এবার জেল থেকে বের হলে আমি নতুন জীবন পাব। আর যদি তাদের কথা না শুনি পুনরায় দেশ ও জনস্বার্থে মানবাধিকারগিরি করি তাহলে অনেক বড় বিপদে পড়ব। আমার লাশও কেউ খুজে পাবে না।
এরপর গত ২৬/০১/২০২৩ইং তারিখ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালত হতে জামিনে মুক্ত হই। ঐদিনই জেল হতে রাতে বের হই। বের হয়ে পরবর্তীতে ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুই মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরনী এজাহার ফরওয়াডিং আদালত হতে আইনজীবির মাধ্যমে যাবতীয় কাগজপত্র তুলে এজাহার দুইটির লেখা বিবরণী দেখে ঘটনার বিষয়ে খোজ খবর নেওয়া শুরু করি যে কিভাবে আমাকে সাজানো মিথ্যা ঘটনায় ফাঁসানো হলো।
খোঁজ খবর ০১
ঘটনা শুরুর প্রথম মামলা
ডেমরা থানার প্রথম মামলা নং-২৩, তারিখ-১৭/১০/২০২২ইং বাদী লিজা (২০) পিতা মোঃ খলিল আকন্দ, মাতা-রেবা বেগম, সাং-মালয়কান্দি ২য় খন্ড, থানা-শিবচর, জেলা-মাদারীপুর। জন্মনিবন্ধন নম্বর-২০০১৫৪১৮৭৪২০০৭৭২১, মামলার নামীয় আসামী ১। সেলিম (২৮) ২। সিএনজি ড্রাইভার আলম (৩২) উভয় পিতা ও ঠিকানা অজ্ঞাত, অজ্ঞাতনামা ০৪জন ধর্ষক মোট ০৬জন মিলে ডেমরা এলাকার একটি কাশবনে লিজাকে নিয়ে গণধর্ষন করে মামলায় উল্লেখিত এবং দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় উক্ত ঘটনাটি সংবাদে প্রকাশ হয়।
মামলার আসল রহস্য উম্মোচন
এরপর পুলিশের নিরপেক্ষ তদন্তে মামলার আসল রহস্য উম্মোচন হয়। এক পর্যায়ে ভিক্টিম মামলার বাদী লিজা স্বীকার করে মামলায় উল্লেখিত ঘটনা ও আসামীগনের নাম মিথ্যা। আসল সত্য ঘটনা খুলে বলে লিজা (২০) কে ১নং মোঃ জামাল উদ্দিন সরকার (৪৫) ২। মোঃ মিরাজ হোসেন কথিত প্রেমিকা পরিকল্পনা করে যে সেলিম ও আলম নামে দুইজন ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলায় ফাসাতে হবে। এরজন্য লিজাকে তারা ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা পারিশ্রমিক দিবে বলে লিজাকে ঠিক করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৬/১০/২০২২ইং তারিখ যাত্রাবাড়ী থানাধীন গোবিন্দপুর শনিরআখড়া এলাকায় একটি বাসায় আটক রাখিয়া ৪জন ব্যক্তি দ্বারা গনধর্ষন করায় এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করাইয়া অচেতন করিয়া ডেমরা থানাধীন পাইটিপেইন্টস সেলস সেন্টারের সামনে রাস্তার উপর ফেলে রেখে যায়।একপর্যায়ে ডেমরা থানা সত্য ঘটনা উৎঘাটন করার পর পরিকল্পনাকারী ১। জামাল উদ্দীন সরকার, ২। উক্ত মিরাজকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণপূর্বক উক্ত মামলায় জেল হাজতে পাঠান। যাহা দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকাসহ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
খোজখবর-০২
যেভাবে পরিকল্পনাকারীদের পালানোর সুযোগ করে দেওয়া হলো
প্রায় ২২দিন পর একই ধারায় ডেমরার ঐ ঘটনায় আসামীর নাম গড়মিল করে ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানার ভিন্ন একটি মামলা হয়। যাহার মামলা নং-৪২ তারিখ-০৯/১১/২০২২ইং ধারা-০৯(০৩)২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইন সংশোধনী-২০০৩ গনধর্ষন করার অপরাধ, তবে আসামীর নাম ও বাসস্থানের কলামে ১। মোঃ জামাল উদ্দীন ২। মিরাজ ৩। মোঃ আলমগীর হোসেন ৪। দেলোয়ার মুন্সী উক্ত চারজন সহযোগী আসামী উক্ত আসামীর কলামে আসামী করা হলেও অজ্ঞাতনামা চারজন ধর্ষককে আসামীর কলামে উল্লেখ করে নাই। রহস্যজনক কারণে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়ও ডেমরার মামলায় কোথাও ভিক্টিম লিজা সহযোগী /ধর্ষক আলমগীর হোসেন বা দেলোয়ার মুন্সী বা সহযোগী আসামী চারজনের কথা বলে নাই। কিন্তু যাত্রাবাড়ীর মামলায় আলমগীর হোসেন ও দেলোয়ার মুন্সীর নাম বাড়তি উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া ভিক্টিমকে যে বাসার মহিলা সাথী (৩৩) এর সহায়তায় আটক রেখে ধর্ষন করা হলো সে মহিলাকেও আসামী দেখানো হয় নাই। তাছাড়া পরিকল্পনা কারী ১নং আসামী জামাল উদ্দীন সরকার ডেমরা থানার মামলায় জামিন পেয়ে জেল হতে বের হয়ে যাওয়ার পর যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ (মামলা তদন্ত কর্তৃপক্ষ) নাটকীয়ভাবে আসামীকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন আদালতে পাঠিয়েছে।
খোজখবর-০৩
যেভাবে মামলায় ফাঁসানো হলো
যাত্রাবাড়ীর নাটকীয় ৪২নং সাাজনো মামলা ৩নং আসামী মোঃ আলমগীর হোসেন (৩২) পিতা ও ঠিকানা অজ্ঞাত এর পরিবর্তের মোঃ আলমগীর (৫২)কে উক্ত আসামী বানিয়ে ২৮/১২/২০২২ইং তারিখ আদালতে প্রেরণ করে ফরওয়াডিং-এ আলমগীরের একাধিক নাম ও পিতা উল্লেখ করে। মহোদয় এর আগেও নারী গঠিত ব্যবসায়ী ও নারী পাচারকারী সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিভিন্ন অভিযোগ করায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তাগনদের দিয়ে সাজানো কয়েকটি মিথ্যা মামলা দেয় ডিএমপি যাত্রাবাড়ীর থানা পুলিশ এবং একটি টিভি চ্যানেলে উক্ত ষড়যন্ত্রকারী নারী পাচারকারী নারী গঠিত ব্যবসায়ীরা ও উক্ত মামলার পরিকল্পনাকারী ১নং আসামী জামাল উদ্দীন সরকারসহ আমার বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় বক্তব্য দেয় ও আমার সাংগঠনিক অফিস কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় এবং অফিসের সকল মালামাল যেমন-বহু বছরের বিভিন্ন ডুকুমেন্টারী, অফিসিয়াল ফাইলপত্র, বিভিন্ন মানুষের পক্ষে জনস্বার্থে আইনি লড়াইর ফাইলপত্র, র্যাব-১০ এর সিপিসি-০১ দ্বারা নিয়ে যায়। এরফলে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশ হেডকোয়াটার্স, সমপ্রচারকারী টিভি চ্যানেলসহ বিভিন্ন দপ্তরে শত্রæতার কারণ উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন দেই। উক্ত প্রতিবেদন এর অদ্য পর্যন্ত উল্লেখিত বিষয়াদির বিষয়ে বাস্তাবমুখী কোন সুরাহ হয় নাই।
এক পর্যায়ে মামলার অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের পর আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাগুলো ব্যাপক অনুসন্ধানের পর প্রমানিত না হওয়ায় এবং মিথ্যা হওয়ায় চারটি মামলার কোন অভিযোগ প্রমান না পাওয়ায় মিথ্যা প্রমানিত হয় কিন্তু মামলাগুলো পুলিশের পরিকল্পিত হওয়ায় পুলিশ বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অপরাধে ২ এলেভ্যান মামলা দেয় নাই। কৌশলে মিথ্যা মামলা প্রদানকারীদের নারী গঠিত ব্যবসায়ী ও পাচারকারীদের পালানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে ও তাদের সহায়তা করে আমাকে ন্যায় বিচার হতে বঞ্চিত করা হয়েছে। সবকিছু জানার পরে ষড়যন্ত্রমূলক যাত্রাবাড়ী থানার ৪২নং মামলায় ফরওয়াডিং এ উল্লেখ করা হয়েছে আমি ৫টি মামলায় অভিযুক্ত, যাহা আদালতকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন মামলার ফরওয়াডিং কর্মকর্তা পুলিশ।
খোজখবর-০৪
দুই এজাহার গড়মিল যে কারণে ও মামলার পরিকল্পনাকারীদের পরিচিতি
ডেমরা থানার মামলা নং-২৩, তারিখ-১৭/১০/২০২২ইং ০৯(০৩)২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইন সংশোধনী-২০০৩ গনধর্ষন। ২য় যাত্রাবাড়ী থানার মামলা নং-৪২, ০৯(০৩)২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইন সংশোধনী-২০০৩ গনধর্ষন। উক্ত মামলার পরিকল্পনাকারী ১নং আসামী জামাল উদ্দীন সরকার নারী পাচার, মাদক ও বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত হয়ে অন্যান্য পাচারকারী মিরাজ ওরফে কবিরগংদের নানভাবে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অপপ্রভাব খাটিয়ে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করে আসছে জামাল বিএনপি দলের গোপন অঘোষিত কর্মী এবং এর নামে দেশের বিভিন্ন থানায় অনেক মামলা রয়েছে। জামাল ও ওসি তদন্ত শিকদার মুহিতুল আলম একে অপরের সাথে সু-সম্পর্ক রয়েছে।
জামালগংদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় পৃথক অভিযোগ করায় গোপনে সুপরিকল্পিতভাবে তাদের সহযোগী নারীগঠিত ব্যবসায়ী ও অসামাজিক ব্যক্তিবর্গ সাথী নামক মহিলার বাসায় তাদের সহযোগী ভিক্টিম লিজাকে বিভিন্ন পুরুষ দিয়ে অসামাজিক কাজ করিয়ে মিথ্যা ঘটনা তৈরী করে মামলার পরিকল্পনাকারীদের টার্গেটকৃত ব্যক্তিবর্গকে ফাসানোর জন্য প্রথমে ডেমরা থানায় মামলা করতে গিয়ে থানা পুলিশের কাছে পরিকল্পনা ধরা পড়ে যাওয়ায় জামালের অন্যতম সহযোগী শিকদার মুহিতুল আলম সুযোগ বুঝে যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ এর অনুপস্থিতে তার টার্গেট মতো লোকদের নামে দ্বিতীয় মামলাটি একই ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-৪২ তারিখ ০৯/১১/২০২২ইং।
মহিতুল আলমের টার্গেটকৃত ব্যক্তিবর্গের নামে মামলা হওয়ায় ডেমরা থানার ২৩নং মামলার এজাহারের সাথে যাত্রাবাড়ীর ৪২নং মামলার এজাহারের আসামীর কলামে আসামীদের সংখ্যা নাম ও বয়স ঘটনার সময় স্থান গড়মিল করেছে। এবং সাথী নামক যে মহিলার বাসায় ঘটনা দেখিয়েছেন সেই মহিলাও চার ধর্ষক গং মামলার পরিকল্পনাকারীদের লোক ও বাদী লিজা নিজেদের লোক হওয়ায় আসামীর কলাম হতে পরিকল্পিতভাবে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। যার কারণ হচ্ছে মামলা পরিকল্পনাকারী চার ধর্ষককে আসামীর কলাম হতে বাদ দেওয়া না হলে কখনও যদি তারা ধরা পড়ে তাহলে পরিকল্পনাকারী গডফাদারদের মুখোশ উনোচন হয়ে ফেঁসে যেতে পারে।
সুপারিশমালা
১। আমার নিরাপত্তার বিধানসহ আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ষড়যন্ত্রমূলক মামলা যাত্রাবাড়ী থানার মিথ্যা গণধর্ষন ৪২নং মামলা হতে আমাকে অব্যহতি দিয়ে আমার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা।
২। উক্ত ডেমরা থানার ২৩ ও যাত্রাবাড়ীর ৪২নং মামলার মূল পরিকল্পনাকারী জামাল উদ্দীন সরকার বাদি লিজা, ঘটনাস্থলের বাসার-মহিলা সাথী ও মামলার আলামত তৈরীর চারজন গনধর্ষনকারীদের গ্রেফতার পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৩। মামলা ২টির তদন্তে দায়িত্ব অবহেলাকারী ও মামলা প্রস্তুতকারী এবং ষড়যন্ত্রে সহায়তাকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৪। দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা আইন বর্হিভুতভাবে উক্ত মামলা পরিকল্পনাকারীদের আইনবর্হিভূত নিষিদ্ধ পতিতা ব্যবসার স্থান যেমন-আবাসিক হোটেল ও নানা স্থানে দালালদের ভাড়াকৃত ফ্ল্যাট-বাসাসহ পতিতালয়গুলোতে জিম্মি এবং অপ্রাপ্তদের উদ্ধার পূর্বক তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে যাবতীয় সার্বিক সহায়তাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৫। ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কুমিল্লা, ফরিদপুর, যশোর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বগুড়া, ময়মংসিংহ, জামালপুর, পটুয়াখীলী, সাতক্ষীরা, খুলনা, টাংগাইল, রাজবাড়ী দেশ-বিদেশের পতিতা ব্যবসার জন্য উক্ত সিন্ডিকেট যাহারা নারী পাচার করে সে সকল পাচারকারীদের শনাক্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা করা।
৬। মিথ্যা মামলা প্রদানকারী জামালগংরা যাতে আরো কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাজানো ঘটনা ঘটাইতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নজরদারীতে রাখা।
৭। নারী গঠিত ও পাচারকারী জাভেল হোসেন পাপন, জাবেদ হোসেন মিঠু, সাজ্জাদ, সাইদুল, জামালদের উপার্জিত অবৈধ অর্থ তদন্তপূর্বক সরকারের কোষাগারে নেওয়ার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করা।
পরবর্তী পদক্ষেপ
(ক) মিথ্যা মামলা দায়ের করা ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোস উন্মোচনে তাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দারস্থ হওয়া।
(খ) নারী গঠিত ব্যবসায়ী ও পাচারকারীদের চিহ্নিত করে অপরাধ নিমুর্লের লক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলার বাহিনী বা আদালতের দারস্থ হওয়া।
(গ) দেশ ও জন স্বার্থে নারী পাচারকারী দালালদের জিম্মি দশায় আটক ও নিষিদ্ধ পল্লি যেমন হোটেল, ফ্লাট-বাসাসহ বিভিন্ন স্থান হতে মেয়েদের উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দারস্থ হয়ে সহায়তা কামনা করা বা আদালতের সরনাপন্ন হওয়া।
(ঘ) যে সকল নারী পাচারকারীরা দেশ ও জনস্বার্থে ক্ষতি সাধন করছে সে সকল বিষয়াদিসহ ব্যক্তিদের অবৈধ উপার্জিত আর্থিক বিষয়াদী তালিকা তৈরী পূর্বক আইনশৃঙ্খরা বাহিনীর দুর্নিতি দমন কমিশন না পেলে আদালতের দারস্থ হওয়া।
(ঙ) দেশ ও জনস্বার্থে, মাঠ পর্যায়ে নানাবিধ অপরাধের তথ্য সংগ্রহ পূর্বক তা নিমুলের লক্ষ্যে বরাবরের মতো প্রতিবেদন,অভিযোগ, আবেদন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বত্ত পাঠানো ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও গনমাধ্যমে সরনাপন্ন হওয়া।
মানবাধিকার স্বেচ্ছাসেবী কর্মী বলেন-নারী পাচারকারীরা একে অপরের সাথে বর্তমানে পাল্লা দিয়ে দালালদের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে শিশু, কিশোরী, যুবতী মেয়েদের নানা প্রলোভনে তাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে আবাসিক হোটেল, ফ্ল্যাট বাসার অন্তরালের আস্তনায় এনে নানা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর-জবরদস্তিভাবে কৌশলে পতিতা বানানো হয়। একপর্যায়ে দেশ বিদেশের পতিতালয়সহ বিভিন্ন স্থানে অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য পাঠানো হয়। এ নিয়ে যদি কেউ প্রতিবাদ করে তাকে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়, কখনো হত্যার চেষ্টা করা হয় ও সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে উল্টো প্রতিবাদকারীর বিরুদ্ধে মিডিয়ায় অপ্রচার করে থাকে। তিনি আরো বলেন-এরকম ভূক্তভোগী আমি নিজেও একজন। তিনি আরো বলেন অবাদে অবৈধ নারী পাচার ও দেশব্যাপী নারীঘটিত অসামাজিক কার্যক্রমের ফলে সমাজের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষন জনিত ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাছাড়া ঘটনাস্থলের হোল্ডিং মালিকদের বিরুদ্ধে তেমন কোন আইনানুগ কার্যকরি ব্যবস্থা না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার পুলিশের অভিযান হলেও পুনরায় সেখানে একই স্থানে একই ধরনের অপরাধ কর্ম চলে।