সদ্য সমাপ্ত ১৩১টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জয়ের দিক দিয়ে এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই ধাপে আওয়ামী লীগ ৬৮টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছে। আর স্বতন্ত্র থেকে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন ৬১ জন। ভোট পড়ার হার ৬৬ দশমিক ৯২ শতাংশ।
মাঠ পর্যায় থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো তথ্য এক করে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। সর্বশেষ বুধবার (১৫ জুন) দেশের ১৩১টি ইউপিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনী প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নবম ধাপে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৬৮ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছে। এ নিয়ে ইউপিতে দলটির চেয়ারম্যানের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ২৬৫ জন। অন্যদিকে, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই ধাপে ৬১টি চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছে। এর মাধ্যমে মোট স্বতন্ত্র থেকে চেয়ারম্যান পদের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৮৫২ জন।
ইসি জানায়, এই ধাপে একটি ইউপির ফলাফল স্থগিত রয়েছে। আর একটি ইউপি পেয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটির প্রার্থী মো. আ. রহিম পটুয়াখালীর কালাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউপিতে প্রায় দুই হাজার ভোট বেশি পেয়ে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন। এ নিয়ে ইউপিতে দলটির চেয়ারম্যানের সংখ্যা দাঁড়াল নয়জন।
নারী
এই ধাপে সালাম জাহান পটুয়াখালী সদরের কালিকাপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগ থেকে জয়ী হয়েছেন। নয়টি ধাপে এ নিয়ে মোট নারী চেয়ারম্যানের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৬ জনে। এদের মধ্যে ছয়জন স্বতন্ত্র, একজন জাতীয় পার্টির। অন্যদের সবাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা
এই ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম বরিশালের উজিরপুরের শিকারপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে নয়টি ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৬৮ জনে। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ৩৬১ জন ও সাতজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
নবম ধাপে পুরো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। এর আগে ষষ্ঠ ধাপে গত ৩১ জানুয়ারি ২১৬টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ হয়েছিল ইভিএমে। সে সময় ভোট পড়েছিল ৬৯ দশমিক ৭ শতাংশ। ইসির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ইভিএমের নির্বাচন ছিল এটি।