শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনায় রোববার বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৮৩০ জন এবং করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৮৫৭ জন। এছাড়া এই দিন বিশ্বজুড়ে কোভিডজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে ৪৭৬ জনের।
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানিয়েছে এ তথ্য।
ওয়েবসাইটটির তথ্য অনুযায়ী, রোববার বিশ্বে দৈনিক আক্রান্তের হিসেবের শীর্ষে ছিল উত্তর কোরিয়া। দেশটিতে এদিন করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৭৯০ জন। তবে এদিন সেখানে কোভিডজনিত অসুস্থতায় কারো মৃত্যু হয়নি।
অন্যদিকে রোববার করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে স্বায়ত্বশাসিত দ্বীপ ভূখণ্ড তাইওয়ানে— ১২৪ জন। এছাড়া এদিন সেখানে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ১১০ জন।
উত্তর কোরিয়া ও তাইওয়ান ব্যতীত অন্যান্য যেসব দেশে করোনায় আক্রান্ত-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে সেসব দেশ হলো— অস্ট্রেলিয়া( নতুন আক্রান্ত ২২ হাজার ২৫৩ জন, মৃত ২৯ জন), ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ২০ হাজার ৫৪২ জন, মৃত ০), যুক্তরাষ্ট্র (নতুন আক্রান্ত ১৯ হাজার ৫০৪ জন, মৃত ২০ জন), যুক্তরাষ্ট্র (নতুন আক্রান্ত ১৯ হাজার ৫০৪ জন, মৃত ২০ জন), ইতালি (নতুন আক্রান্ত ১৫ হাজার ৮২ জন, মৃত ২৭ জন) ও জাপান (নতুন আকান্ত ১৬ হাজার ৬২৭ জন, মৃত ২৩ জন)।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২৭ লাখ ৫ হাজার ৪৬৪ জন। এই রোগীদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ২ কোটি ২৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৪ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৩৬ হাজার ৬৫০ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
ওয়ার্ল্ডেমিটার্সের তথ্য বলছে, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫৩ কোটি ৫৪ লাখ ৩১ হাজার ১১৫ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৩ লাখ ২০ হাজার ৪০৪ জনের। এছাড়া, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৫০ কোটি ৬৪ লাখ ৫ হাজার ২৫০ জন।