বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয় ৫ নাগরিককে মঙ্গলবার তাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা থাকলেও, তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর সেই উদ্যোগ ভেস্তে গেছে। রাষ্ট্রীয় কাগজপত্র না পাওয়ার কথা জানিয়ে তাদেরকে ফেরত নিতে অপারগতা প্রকাশ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ফলে দীর্ঘ সাজাভোগের পরও দেশে ফেরার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল ওই ৫ ভারতীয় নাগরিকের। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় তাদেরকে লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে পুনরায় কুড়িগ্রাম কারাগারে স্থানান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রামের জেল সুপার মো. ইসমাইল হোসেন।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন জানান, মাদক বহন ও পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৫ ভারতীয় নাগরিককে আটক করে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। দীর্ঘ কারাভোগের পর সাজার মেয়াদ শেষ হলেও আসামি হস্তান্তরের জটিলতায় তারা ছয় মাস থেকে এক বছর ধরে বিনাবিচারে কারাগারেই মুক্তির অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলেন। মঙ্গলবার কুড়িগ্রাম জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ ৫ ভারতীয় নাগরিককে পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয় বিএসএফের কাছে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু কাগজপত্রের জটিলতার কারণে তাদেরকে চেকপোস্ট থেকে পুনরায় কুড়িগ্রাম কারাগারে ফেরত আনা হলো। এই ৫ ভারতীয়কে এখন সাজাভোগের পর বিনা অপরাধে কারাগারেই সাজাভোগ করতে হবে। হতভাগা ওই ৫ ভারতীয় নাগরিক হলেন- কুচবিহার জেলার আলম মিয়া, আসামের ধুবরী জেলার মো. নুরুজ্জামান, দক্ষিণ মাইনকারচর জেলার সেলিম মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম ও মাহা আলম শেখ।
বর্ডার ভিক্টিম রেসকিউ লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স ফোরামের বাংলাদেশ চ্যাপ্টরের আহ্বায়ক ও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন জানান, উভয় দেশেই নাগরিক রয়েছেন বিভিন্ন জেলখানায়। সাজার মেয়াদ শেষ হলেও তারা দেশে ফিরতে পারছেন না। আজকে যারা দেশে ফিরছেন তারা সাজার বাইরেও ছয় মাস থেকে এক বছর বিনাবিচারে জেল খেটেছেন। এটা মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন।