1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::
গণমাধ্যমের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করা হবে অবশেষে পলাতক আসামী মিরাজ গ্রেফতার সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে : মন্ত্রিপরিষদ সচিব সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে : প্রধানমন্ত্রী মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচনে স্বজনপ্রীতি প্রশ্রয় দিব না: কাদের উপজেলা নির্বাচনে জনগণ যাতে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে : প্রধানমন্ত্রী বিলাসিতা ছেড়ে শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দিতে শিল্প মালিকদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির ভোটার ছাড়া ভোট চুন ছাড়া পান খাওয়ার মতো: ইসি রাশেদা

কুষ্টিয়ার এক ইউনিয়ন পরিষদে দেড় কোটি টাকা লুট

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৮ মে, ২০২২, ১.০৬ পিএম
  • ১৯২ বার পড়া হয়েছে
কুষ্টিয়ার একটি ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় দেড় কোটি টাকা লুট করেছে সংশ্লিষ্টরা। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নে প্রায় ১০ বছর নির্বাচন না হওয়ায় এ লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
জিয়ারখী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ এক কর্মকর্তা ও তার সহযোগীরা এই মোটা অংকের অর্থ ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করতে দোড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তারা। স্থানীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় নির্দিষ্ট হাট ইজারার ৪১ শতাংশ টাকার স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদ পাওয়ার কথা। এই নিয়মে ২০২০ ও ২০২২ সালে বালিয়াপাড়া পশু হাট ইজারা থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা পায় জিয়ারখী ইউনিয়ন পরিষদ।
এর মধ্যে ২০২০ সালে ৭১ লাখ টাকা পরের বছরে ৭৬ লাখ টাকার বেশি পায়। এ ছাড়া ২০১৯ সালেও ওই ইউনিয়ন পরিষদ মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ পায়।
উপজেলা পরিষদ থেকে জানা গেছে, বালিয়াপাড়া পশু হাটের নির্ধারিত ৪১ শতাংশ ছাড়াও অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ অর্থ পায় ওই ইউনিয়ন পরিষদ। এই অর্থ দিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)র মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। আর ৪১ শতাংশ টাকা দিয়ে নীতিমালা অনুযায়ী খরচ করতে পারেন পরিষদের চেয়ারম্যান। হাট বাজারের প্রাপ্ত অর্থের চেক চেয়ারম্যানের নামে ইস্যু করা হয়। প্রাপ্ত চেক তাদের নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকা তোলার কথা। রূপালী ব্যাংক স্বস্তিপুর-ভাদালীয়া শাখায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব খোলা হয়েছে।
২০০৩ সালে সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মো. ইউসুব আলী। তিনি ২০১৯ সালে মৃত্যুবরণ করলে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান শাজাহান আলী। তিনি দায়িত্ব পালন করেন প্রায় তিন বছর। এ সময়ের মধ্যে বালিয়াপাড়া পশুহাট থেকে যে অর্থ পেয়েছেন তার মোটা অংশ ভাগবাটোয়ারা হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ইউপি সদস্য বলেন, পশু হাট থেকে আসা টাকা কোথায় কীভাবে খরচ হয়েছে তা তারা জানে না। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাজাহান আলী, সচিব মহিউদ্দিন শেখ ও তার অনুগত একজন সদস্য, এক কর্মকর্তা ভাগ করে নিয়েছে। যে কারণেই কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাজাহান আলী ও সচিব মহি উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে প্রথমে দুই বার অর্থ বরাদ্দের কথা অস্বীকার করেন। তারা বলেন, একবার অর্থ বরাদ্দ পেয়েছি। তবে প্রমাণ দেখালে দুইবার অর্থ বরাদ্দের কথা স্বীকার করেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাজাহান আলীর দাবি- বেতনভাতা ছাড়াও ওই টাকা দিয়ে প্রকল্পের কাজ করেছেন। কাজের তালিকা চাইলে বলেন, পরে দিতে পারব।
তিনি বলেন, কাজ করতে গেলে কিছু ভুল ত্রুটি হতে পারে। একমাস পরেই নির্বাচন, রিপোর্ট না করাই ভালো। করলে আমার ক্ষতি হবে। ইউপি সচিবের কাছে তথ্য চাইলে তিনি নানা অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যান।
পরে তিনি বলেন, ২০২০ সালে বেতনভাতা ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। পরের বছরে ৫ লাখ টাকা বেতন ভাতা দেওয়া হয়। বাকি টাকা কোথায় খরচ হয়েছে, তা নথি না দেখে বলা যাচ্ছে না বলে জানান।
এলাকাবাসী জানায়, হাটে শুধু একবার বালু ভরাট করা হয়েছে, তারপর আর কিছুই হয়নি।
ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার জানান, শাজাহান আলী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেক টাকা হাট থেকে এসেছে। তবে তাদের কোনও প্রকল্প দেওয়া হয়নি। তিনি নিজেদের লোক দিয়ে কাজ করেছেন।
জানা গেছে, আগের চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী মারা যাবার আগে ৩৮ লাখ টাকা রেখে গেছে। এই টাকারও হদিস নেই। তবে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাজাহান আলী বলেন, তিনি ওইসব টাকা পাননি।
এসব বিষয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার মণ্ডল বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com