সিলেট নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ড ও ২৩ নং ওয়ার্ডবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বাসভবনসহ বেশ কয়েকটি বাসা, গাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন প্রায় ২০ জন।
বুধবার (৬ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে নগরীর ছড়ারপাড় ও মাছিমপুর এলাকার মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে ছড়ারপাড় ও মাছিমপুরের দুই যুবকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়। এর জের ধরে আজ রাত ৮টার দিকে মাছিমপুরের একদল লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ছড়ারপাড়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় তারা সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বাসার জানালা ও সামনে রাখা গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ছাড়া তারা বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়িতে হামলা করে। খবর পেয়ে ছড়ারপাড়ের বিপুল সংখ্যক লোক লাটিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকা মাছিমপুরের লোকজনকে পালটা ধাওয়া করে।
এ সময় উভয় পক্ষের ধাওয়া-পালটা ধাওয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম বলেন, যারা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করে যেন আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। এ সময় তিনি সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বাসায় অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা জানান।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আপাতত পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।