বন্ধু নয়, এমন দেশগুলোকে রাশিয়া থেকে গ্যাস কিনতে গেলে ইউরো বা ডলার নয়, রুবল দিয়ে কিনতে হবে। সম্প্রতি এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তবে পুতিনের এ পরিকল্পনা মানতে মোটেও রাজি না ফ্রান্স। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এ বিষয়ে বলছেন, ক্রেমলিনের কৌশলের পর আমরা আমাদের বিশ্লেষণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
জার্মানি এখনও রাশিয়ার গ্যাসের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। রাশিয়ার এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলছেন, চুক্তিতে স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা আছে যে কীভাবে গ্যাসের জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে।
কয়েকদিন আগেই রাশিয়া বলে,বহু দেশ যেভাবে রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে, তারপর তাদের ওপর আর বিশ্বাস রাখা যাচ্ছে না। বলা হয়েছে, অন্য দেশের সঙ্গে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস সরবরাহ করার যে চুক্তি আছে, তা বহাল থাকবে। কেবল তেল ও গ্যাস নিলে রুবল দিতে হবে, ডলার বা ইউরো নয়।
• আরও পড়ুন : যেসব দেশ বন্ধু নয়, তাদের কাছেও গ্যাস বিক্রি করবে রাশিয়া
ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউসহ বেশ কিছু দেশ কঠোর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর ফলে রুবলের দাম খুবই কমে গিয়েছিল। তবে পুতিনের এই সিদ্ধান্তের পর রুবলের দাম বেড়েছে।
গ্যাসপ্রমের ২৭ জানুয়ারির রেকর্ড অনুযায়ী, ওই দিন বিদেশি ক্রেতাদের কাছে গ্যাস বিক্রিবাবদ যে অর্থ এসেছে, তার ৫৮ শতাংশ ইউরো, ৩৯ শতাংশ ডলার ও ৩ শতাংশ পাউন্ড।
রাশিয়ার জ্বালানি গ্যাসের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ইউরোপ। এই মহাদেশের মোট বার্ষিক গ্যাসের চাহিদার ৪০ শতাংশ সরবরাহ আসে রাশিয়া থেকে।