ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধকে সমর্থন করার জন্য চীন কোনো অস্ত্র ও গোলাবরুদ পাঠাবে না। একইসঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়া ‘সংকট কমাতে সবকিছু’ করবে বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত একথা জানান বলে সোমবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইউক্রেনে টানা তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে রাশিয়া। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির অন্য অনেক শহরে রুশ সামরিক বাহিনী সফলতা পেলেও রাজধানী কিয়েভ অঞ্চলে এখনও সুবিধা করতে পারেনি তারা। এই পরিস্থিতিতে চীনের কাছে রাশিয়া অস্ত্র সহায়তা চেয়েছে বলে খবর বের হয়েছিল।
চীনের কাছে রাশিয়ার সামরিক ও আর্থিক সহায়তা চাওয়ার এই খবরটি চলতি মাসের মাঝামাঝিতে প্রকাশ করেছিল সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমটি সেসময় জানায়, রাশিয়া চায় ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করুক চীন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছিল, ইউক্রেনে আগ্রাসনের শুরু থেকেই চীনা সরঞ্জামের জন্য বেইজিংকে অনুরোধ করে আসছে রাশিয়া। অবশ্য রুশ কর্মকর্তারা চীনের কাছে ঠিক কী ধরনের সরঞ্জাম চাইছেন তা উল্লেখ করতে অস্বীকার করেন তারা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছিল, মস্কোর অনুরোধের পর চীন সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত হতে পারে এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। এরপরই চীনের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ওয়াশিংটন। রাশিয়াকে সহায়তা করলে চীনকে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করে দেয় দেশটি। সর্বশেষ গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে দেন যে, চীন যদি রাশিয়াকে সহায়তা করে তবে তাকে ‘পরিণাম’ ভোগ করতে হবে।
তবে চীন বরাবরই পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোর এই ধরনের দাবি অস্বীকার করে আসছিল। এমনকি চীনের কাছে রাশিয়ার সামরিক ও আর্থিক সহায়তা চাওয়ার খবরটিকে ‘গুজব’ বলেও দাবি করে বেইজিং।
চীন এখন পর্যন্ত রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে নিজেকে নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা করছে এবং পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে সেটির নিন্দাও প্রকাশ করেনি বেইজিং।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচারমাধ্যম সিবিএস’র সঙ্গে কথা বলা সময় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত কিন গ্যাং অভিযোগ করেন, পশ্চিমা দেশগুলোর প্রকাশ্য নিন্দা (সংকট সমাধানে) ‘সাহায্য করে না’ এবং এর জন্য ‘ভালো কূটনীতি’ প্রয়োজন।