1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫

জজ, পুলিশ ও র‌্যাব পরিচয়ে সক্রিয় প্রতারক চক্র

  • আপডেট সময় সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১, ১২.৫৬ পিএম
  • ৩০৭ বার পড়া হয়েছে

সিএনএম প্রতিনিধিঃ

কখনও জেলা জজ, কখনও পুলিশ আবার কখনও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দেশব্যাপী প্রতারণা করে যাচ্ছে বরগুনার একটি প্রতারক চক্র।

সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্য গ্রেপ্তার হয়। তবে জামিনে বের হয়ে আবারও নতুন করে প্রতারণার জাল বুনে চলছে সংঘবদ্ধ চক্রটি। একাধিক মন্ত্রী এবং পুলিশ প্রধানদের সঙ্গে ছবি তুলেও ফায়দা লুটছে তারা। বিদেশে পাঠানোর কথা বলেও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে জনপ্রতি পাঁচ থেকে ১০ লাখ করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

জানা গেছে এ চক্রের মাস্টারমাইন্ড মিলন হাওলাদার। তার নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ এ চক্রটি গড়ে উঠেছে। গত ৯ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিশেষ জজ, পুলিশ ও প্রেস লেখা স্টিকার, আইডি কার্ড, ওয়াকিটকি, পুলিশের সিগনাল লাইট ও একটি প্রাইভেটকারসহ মিলনের দলের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানা পুলিশ।

পরের দিন পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। মামলায় দুই নম্বর আসামি করা হয় সদরের নলটোনা এলাকার লিটনকে। পাঁচ নাম্বার আসামি করা হয় জব্দকৃত প্রাইভেটকারের মালিক একই এলাকার মিলন হাওলাদারকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইছ উদ্দিন বলেন, ‘বিচারক, র‌্যাব, পুলিশ পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতারণা করে আসছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাদের কয়েকজনকে সরাইল থানা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সম্প্রতি জামিনে বের হয়েছে তারা। তবে তাদেরকে পুলিশি নজরদারির মধ‌্যে রাখা হয়েছে। সরাইল থানায় পুলিশ বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে যে মামলাটি করেছে তার অভিযোগপত্রে আসামির সংখ্যা বাড়তে পারে।’

খবর পাওয়া গেছে, চক্রটির বেশ কয়েকজন এখন বরগুনা সদরের নলটোনা এলাকার মিলন হাওলাদারের বাড়িতেই আত্মগোপনে আছেন।

মিলন হাওলাদারের বিষয়ে নলটোনা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, অভাবের তাড়নায় ২০০৫ সালে বরগুনা ছাড়ে মিলন হাওলাদার। এরপর দীর্ঘদিন ধরে তার কোনো হদিস ছিল না। ২০১৬ সালের ৯ মার্চ বরগুনা সদরের নলটোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী বড় ভাই হুমায়ুন কবিরের নির্বাচনী প্রচারনায় যোগ দিতে হেলিকপ্টার নিয়ে হাজির হন ছোটো ভাই মিলন হাওলাদার। এর পরেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় এলাকায়।

তারপর থেকে বরগুনার বিভিন্ন জায়গায় বিচারক, পুলিশসহ নানান পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে থাকে মিলন হাওলাদার। জমি-বাড়িসহ একাধিক সম্পত্তির মালিক এখন তিনি।

একই এলাকাবাসী জানান, পাঁচ বছর আগে মালয়েশিয়ায় কাজ দেওয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকে পাঁচ থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত টাকা নিয়েছেন মিলন। তার শুরু হয় তার টালবাহানা। এখনও তাদেরকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাবে বলে ঘোরাচ্ছেন মিলন। টাকা ফেরত চাইলে পুলিশ ও র‌্যাব দিয়ে হয়রানি করবে বলে হুমকিও দেন।
স্থানীয় কয়েকজন জেলে বলেন, ‘একাধীক মন্ত্রী ও পুলিশ প্রধানদের সঙ্গে ছবি আছে মিলন হাওলাদারের। সেসব ছবি দেখিয়ে আমাদের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ইলিশ মাছ নিয়েছেন মিলন। তবে মাছের মূল‌্য শোধ করেননি।’

অভিযোগগুলো নিয়ে মিলনের সঙ্গে কথা হয়ে তার মুঠোফোনে। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মিলন বলেন, ‘পুলিশের ওয়াকিটকি, সিগনাল লাইট ও স্টিকার আমি নিজের গাড়িতে রাখিনি। এসব রেখেছে নরসিংদীর মাধবদী থানার সাব ইন্সপেক্টর সিদ্দিক।’
তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা সিদ্দিক এসব অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, ‘ডিউটি শেষে ওয়াকিটকি ও সিগনাল লাইট থানায় জমা দিতে হয় আমাদের। মিলনের গাড়িতে জব্দ হওয়া পুলিশের সরঞ্জাম সে নিজেই রেখেছে। আমরা কেউ রাখিনি।’
এ মামলার তদন্ত শেষের দিকে দাবি করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কবির হোসেন মুঠোফোনে জানান, শিগগিরই আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com