রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা এলাকায় পারিবারিক কলহে নওরীন সেতু (২৮) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (৭ মার্চ) বিকেল পৌনে ছয়টায় তাকে উদ্ধার করে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সেতুর মামা ইলিয়াস হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেতুর স্বামী জিল্লুর রহমান আমাকে মোবাইল ফোনে জানায় সেতু দরজা খুলছে না আপনি তাড়াতাড়ি আসেন। পরে আমি এসে অনেক ডাকাডাকি করি কিন্তু দরজা খুলে না। দরজা ভেঙে দেখি সেতু গলায় ফাঁস দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। পরে তাকে উদ্ধার করি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাই। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, তার বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া ইতনা গ্রামে। সে ওই গ্রামের কাজী আবদুল গাফফারের মেয়ে।
নিহত সেতুর স্বামী জিল্লুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার স্ত্রীর অনেক রাগ। আমি বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তাকে অনেক বুঝিয়েছি দেখো তোমার একটি ছেলে আছে তুমি এমন কিছু করো না যাতে ছেলে আমার এতিম হয়ে যায়। পরে আমি দুপুরে কাজের জন্য বাইরে চলে যাই পরে তাকে অনেকবার ফোন দিয়েছে কিন্তু সে ফোন রিসিভ করে না। আমি পাশের বাসার এক ভাবিকে ফোন দিয়ে জানায় সেতু ফোন ধরছে না। তারা বাসায় গিয়ে অনেক ডাকাডাকি করে কিন্তু দরজা খুলে না। পরে আমি মামাকে ফোন দেই। মামা এসে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমি মেডিসিনের ব্যবসা করি। আমার সাত বছরের একটি ছেলে রয়েছে। আমি বর্তমানে যাত্রাবাড়ী থানার ১ নং বিবিরবাগিচা গলির একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় থাকি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে জানান, মরদেহটি ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি যাত্রাবাড়ী থানাকে অবগত করা হয়েছে।