নীলফামারী: ভিজিডির চাল দিতে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান। সরকার চাল পরিবহন ও বিতরণ খরচ দিলেও সেই বাবদ এই টাকা নিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে দিনব্যাপী ভিজিডির চাল বিতরণের সময় এই ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে নিয়ম না থাকলেও কার্ড প্রতি ২০ টাকা করে নেওয়ায় এবং প্রশাসনের প্রতিনিধি উপস্থিত থেকেও এই অনিয়ম প্রতিরোধে নির্বিকার থাকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
জানা যায়, বুধবার ওই ইউনিয়নের ৭১৬ জন কার্ডধারীকে ভিজিডির চাল দেওয়া হয়। এসময় কার্ড থাকা সত্ত্বেও আলাদা করে স্লিপ সংগ্রহের নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ টাকা করে নেন দায়িত্বে থাকা মেম্বার মইনুল হোসেন।
পরে চাল নিতে আসা ঘোনপাড়ার বিধবা বিউটি (৫৫) বলেন, চালের স্লিপ দিতে ২০ টাকা করে নিয়েছে। একই কথা জানান শ্বাসকান্দর মাঝাপাড়ার আব্দুলের স্ত্রী লাভলী, উত্তরা আবাসন এলাকার জাহেদা। তারা বলেন, সরকারি চাল তাও টাকা দেওয়া লাগছে।
ট্যা
গ অফিসার হিসেবে উপস্থিত উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আখতারুজ্জামানকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানালে তিনি বলেন, এটা আমার দেখার বিষয় নয়। আমি চালের হিসাব রাখব এবং কার্ড অনুযায়ী সঠিকভাবে বিতরণ করব। টাকা নিচ্ছে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা, আপনি থাকতে এমন অনিয়ম চলছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি নিশ্চুপ হয়ে যান।
এ সময় চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জুনকে ইউনিয়ন পরিষদে না পেয়ে মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি জানান, খাদ্য গুদাম থেকে চাল আনার পরিবহন খরচ, লোড -আনলোড ও বিতরণের জন্য লেবার বিল দিতে হয়। এই টাকা কোথায় পাব, বাবার জমি বিক্রি করে দেব? এসব খরচ বাবদ টাকা নেওয়া হয়েছে। আগেও নিয়েছে, আমরাও নিচ্ছি, এতে দোষের কি?
বিষয়টি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন নাহার বেগমকে মুঠোফোন জানালে তিনি বলেন, কোনভাবেই চাল দিতে টাকা নেওয়া যাবে না। কেউ নিয়ে থাকলে তা অন্যায় করেছেন। তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।