1. hrhfbd01977993@gmail.com : admi2017 :
  2. editorr@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
  3. editor@crimenewsmedia24.com : CrimeNews Media24 : CrimeNews Media24
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
"ফটো সাংবাদিক আবশ্যক" দেশের প্রতিটি থানা পর্যায়ে "ক্রাইম নিউজ মিডিয়া" সংবাদ সংস্থায় ১জন রিপোর্টার ও ১জন ফটো সাংবাদিক আবশ্যক। আগ্রহী প্রার্থীরা  যোগাযোগ করুন। ইমেইলঃ cnm24bd@gmail.com ০১৯১১৪০০০৯৫
সংবাদ শিরোনাম ::

অস্ট্রেলিয়ায় পাচার ৫৭ লাখ টাকা, বেড়েছে অবৈধ সম্পদও

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২, ৫.৩৯ পিএম
  • ১২৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের সাবেক পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দুই বছর আগে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়।

দীর্ঘ সময় পর আজ (সোমবার) লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুমোদিত চার্জশিটে মামলার তুলনায় বেড়েছে অবৈধ সম্পদের পরিমাণ। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায় ছেলের কাছে প্রায় ৫৭ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগ।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামি লোকমান হোসেন ভূঁইয়া বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ছয় কোটি ৭২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করে নিজ ভোগ-দখলে রেখেছেন।

এছাড়া লোকমান হোসেন ভূঁইয়া তার স্ত্রী নাবিলা লোকমান ও ছেলে লাবিব জুহায়ের হোসেনের নামে অস্ট্রেলিয়ার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড ব্যাংকিং গ্রুপ (এএনজেড), কমনওয়েলথ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া (সিবিএ) ও জেস্ ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংক লিমিটেড (এনএবি) নামের তিন ব্যাংকের ৭টি ব্যাংক হিসাবে অস্ট্রেলিয়া ও দুবাই থেকে প্রায় এক লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার নগদে ও ট্রান্সফারের মাধ্যমে জমা করেছেন।

বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে  বাংলাদেশি টাকায় (প্রতি অস্ট্রেলিয়ান ডলার=৫৭ দশমিক ৬৩ টাকা)  ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮০ টাকা পাচার করেছেন। এসব টাকা তিনি অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্জন ও পাচার করে অস্ট্রেলিয়ার ওই ব্যাংক হিসাবে জমা করেছেন।

dhakapost
 দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন 

সার্বিক তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় দুদক দেখতে পায়, আসামি মো. লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার নামে তিন কোটি ৮০ লাখ ৫৯ হাজার ২৩২ টাকার স্থাবর সম্পদ এবং ৩ কোটি ৯২ লাখ সাত হাজার ৩১৫ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট সম্পদের পরিমাণ সাত কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৪৭ টাকা । যেখান থেকে দায়-দেনা বাদ দিলে অবৈধ সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ছয় কোটি ৭২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৩ টাকা।

২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে চার কোটি ৩৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার  বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।  সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন , ২০০৪ এর ২৭ ( ১ ) ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ ( ২ ) ও ৪ ( ৩ ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মতিঝিলের ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে অভিযান চালিয়ে দুটি রুলেট টেবিল, নয়টি বোর্ড, বিপুল পরিমাণ কার্ড, ১১টি ওয়্যারলেস সেট ও ১০টি বিভিন্ন ধরনের চাকু পেয়েছিল পুলিশ। এর তিন দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে তার রাজধানীর তেজগাঁও মনিপুরীপাড়া থেকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে প্রথমে মাদক ও পরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা হয়। এরপর দফায় দফায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাব ও দুদক।

জিজ্ঞাসাবাদে ঢাকার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অন্যতম পরিচালক লোকমান ভূঁইয়া র‍্যাবকে জানায়, ক্যাসিনো থেকে প্রতিদিন ৭০ হাজার টাকা করে নিতেন তিনি। ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতার সম্পৃক্ততার তথ্য। তাদের কয়েকজন গ্রেপ্তারও হন। লোকমানের দাবি ছিল, রাজনৈতিক চাপের মুখে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ঘর জুয়ার জন্য ভাড়া দিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।

২০১৯ সালের ৩ নভেম্বর সম্পদের মামলায় লোকমান ভূঁইয়াকে সাতদিনের জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। ২০২০ সালের ১৮ মার্চ মহানগর বিশেষ জজ আদালত থেকে জামিন পান লোকমান। ১৯ মার্চ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। যদিও পরে জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ বিষয়ে ঢাকা পোস্টকে বলেন, লোকমান হোসেনে বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মামলা তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। ক্যাসিনোকাণ্ডে যাদেরই সম্পৃক্ততা রয়েছে, তাদের বিষয়ে আমাদের শক্ত অবস্থান রয়েছে। আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণ করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা করবো। তার জামিনের বিরুদ্ধে আমাদের আপিল অপেক্ষমাণ অবস্থায় রয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে শুনানি হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত করার লক্ষে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি ঈদ জামাতকে ঘিরে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও জানিয়েছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। জাতীয় ঈদগাহে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান বিচারপতি, মাননীয় বিচারপতিবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশের কূটনৈতিকবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঈদ জামাত আদায় করবেন। প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি একত্রে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করতে পারবেন। গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ঈদের প্রধান জামাতসহ রাজধানীর সকল মসজিদ ও ইদগাহে ঈদের জামাতকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও আশপাশ এলাকা স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) এর ইকুইপমেন্ট ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করানো হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এছাড়াও ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্মধারী পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহের চারপাশে বহির্বেষ্টনী ও আন্ত:বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। প্রবেশ গেটে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সিভিল পোশাকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট টিম, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। এছাড়াও দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিস ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবায় মেডিকেল টিম নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে দশটি স্থানে পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক রমনা বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে আটটি রাস্তা ডাইভারসন দেওয়া হবে, যাতে কোনোরকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদেরকে নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। তিনি আরো বলেন, এবার ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮ টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না। নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যে কোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সাংবাদিকদেরে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এলাকায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কোনো তৎপরতার তথ্য নেই। পাশাপাশাপি কোন ধরনের জঙ্গি তৎপরতার তথ্যও নেই। তারপরও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সকল বিষয় বিবেচনায় রেখেই নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাস মালিক সমিতিসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের আমাদের বৈঠক হয়েছে। তারা আমাদের নির্ধারিত ভাড়া আদায়েরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রাজধানীর সকল যাত্রীবাহী বাস কাউন্টার ও স্টেশনগুলোতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তৎপর রয়েছে। কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম (বার), পিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণসহ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

themesbazar_crimenew87
© All rights reserved © 2015-2021
Site Customized Crimenewsmedia24.Com