সংবিধানের আলোকে এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিসহ একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সৎ, দায়বদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও জেন্ডার সংবেদনশীল নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
রোববার সন্ধ্যায় মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল ২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সার্চ কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের জন্য ১০ জনের একটি নামের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে দাখিল করবে, যেখান থেকে পাঁচজনের একটি নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করবেন।
নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধিনিক প্রতিষ্ঠান। গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় প্রয়োজন একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, দক্ষ নির্বাচন কমিশনের।
আমরা জানি, যোগ্যতাসম্পন্ন অনেক নারী বিচারবিভাগ, প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ে দক্ষতা ও সততার সঙ্গে কাজ করে বর্তমানে অবসরে আছেন। এছাড়াও অনেকে রাজনীতি, শিক্ষা এবং সামাজিক আন্দোলনের কাজে নিয়োজিত আছেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে, দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনে অবশ্যই দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীর প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনারদের অবশ্যই জেন্ডার সংবেদনশীল এবং অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার ধারক হতে হবে।
মহিলা পরিষদ মনে করে, দক্ষতা ও যোগ্যতার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনারদের অব্যশ্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, দেশপ্রেমিক এবং এ দেশের মানুষের ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ হতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে মহিলা পরিষদ সংবিধানের আলোকে এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিসহ একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সৎ, দক্ষ, দায়বদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও জেন্ডার সংবেদনশীল নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছে।