ডেথ ওভারে দারুণ বোলিং করলেন মৃত্যুঞ্জয়। ম্যাচও জেতালেন দলকে। শেষ ওভারে ৯ রান ডিফেন্ড করতে এসে দিলেন ৬ রান। ৩ রানে ম্যাচ জিতল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ব্যর্থ হয়েছে মিনিস্টার ঢাকা তারকা তামিম ইকবালের ৫৬ বলে ৭৩ রানের ইনিংস।
মঙ্গলবার সিলেটে আরও একবার অধিনায়ক করে খেলতে নামে চট্টগ্রাম। আগের ম্যাচের অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ছিলেন না ঢাকার বিপক্ষে একাদশেই। নেতৃত্বের ভার উঠে আফিফ হোসেনের কাঁধে। ইনিংস উদ্বোধনে সুযোগ দেওয়া হয় জাকির আলীকে।
৪ বলে ১ রান করে ফজল হক ফারুকীর বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। ফর্মে থাকা উইল জ্যাকস ২৪ বলে করেন ২৬ রান। অধিনায়ক আফিফের ব্যাট থেকে ২৪ বলে আসে ২৭ রান। চট্টগ্রামের ইনিংসটাকে বড় করার কৃতিত্ব শামীম পাটোয়ারীর।
টানা ব্যর্থতায় সমালোচনার মুখে পড়া এই ব্যাটসম্যান ফিফটি হাঁকান। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ বলে ৫২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষদিকে ১৯ বলে ২৪ রান করেন বেনি হাওয়েল। নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে চট্টগ্রাম।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকে এক প্রান্তে উইকেট গেলেও অপর প্রান্তে হাল ধরেন তামিম ইকবাল। দলকে জেতাতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৬ বলে ৭৩ রান করেন তিনি। ২৯ বলে ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
মাঝে ১১ বলে ২২ রানের ক্যামিও খেলে যান শুভাগত হোম। তবে শেষদিকে তামিম ও নাঈম শেখের ব্যর্থতা ও মৃত্যুঞ্জয়ের দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচ জেতা হয়নি ঢাকার। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয়। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম।