দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ২২ জনে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় অর্ধশত মানুষ। গত সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী কুইটোতে ভূমিধসের এই ঘটনা ঘটে। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
কুইটোর মেয়র সান্টিয়াগো গুয়ারদেরাস জানিয়েছেন, ভূমিধসের ঘটনায় মঙ্গলবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪৭ জন। বেশ কয়েকজন নিখোঁজও রয়েছেন।
রয়টার্স বলছে, প্রবল বৃষ্টিপাতের পর গত সোমবার রাতে ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। সেসময় কাদা-মাটি ও পাথরে সেখানকার বাড়ি-ঘর ও রাস্তা ঢেকে যায় এবং বিদ্যুৎ সেবা ব্যহত হয়। এতে অনেকে তাদের বাড়ি-ঘরে আটকা পড়েন এবং হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
ভূমিধসের একদিন পর মঙ্গলবারও শহরের বহু বাড়ি-ঘর ও রাস্তা কাদার নিচে ছিল এবং আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছিল বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মেয়র সান্টিয়াগো গুয়ারদেরাস মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ৪৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া আরও ২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।’
গত সোমবার রাতে ভূমিধসের ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ৯ জন নিখোঁজ এবং ৩২ জন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সময় গড়াতেই হতাহত ও নিখোঁজদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। নিখোঁজ মানুষদের উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন কুইটোর বাসিন্দা আলবা কোটাকাচি।
অবশ্য কুইটোতে আরও ভূমিধস হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আপাতত নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া কাদায় পরিপূর্ণ রাস্তা পরিষ্কারের কাজও চলছে।
রয়টার্স বলছে, ইকুয়েডরের বিভিন্ন জায়গায় বর্তমানে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে সেসব এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে এবং শত শত বাড়ি-ঘর ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।