সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ভুয়া সুপারিশপত্র ছড়িয়ে পড়েছে। যারা এসব ছড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। পাশাপাশি এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে এনটিআরসির যুগ্মসচিব (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) এবিএম শওকত ইকবাল শাহীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কোনো সুপারিশপত্র শেয়ার করিনি। আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো তথ্য না থাকলে এগুলো ভুয়া। প্রার্থীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, আমাদের তথ্য থাকবে ওয়েবসাইটে। সেখানে কোনো বিজ্ঞপ্তি গেলে প্রার্থী এসএমএস পাবেন। তারপর ওয়েবসাইট থেকে ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এক শ্রেণির হ্যাকার নিয়োগপত্রের ফরম্যাটে দেওয়া নাম-সই জাল করে এগুলো করছে। এরা হলো নব্য ফেরাউন। তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কবে নাগাদ সুপারিশপত্র দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কার্যক্রম চলছে। চেষ্টা করছি দ্রুত এ কাজ শেষ করার।
জানা গেছে, পুলিশ ভেরিফিকেশন (পুলিশি যাচাই) চলমান রেখেই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি কার্যকর করতে এরই মধ্যে এনটিআরসিএ-কে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রনালয়। শিগগিরই সুপারিশপত্র দেওয়া হবে বলে এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে।
বুধবার রাত থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে অনেকেই নিয়োগের সুপারিশপত্র পেয়েছেন বলে পোস্ট করছেন।